হায়দ্রাবাদে চিকিৎসা করাতে গিয়ে অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বিপাকে মেয়ে

0
63

প্রীতম সরকার, উত্তর দিনাজপুরঃ

হায়দ্রাবাদে চিকিৎসা করতে গিয়ে কার্ফিউর পর লকডাউন -এর জেরে অসুস্থ মাকে নিয়ে আটকে রইলেন মেয়ে সহ আরও অন্যান্য বেশ কয়েকজন। বেশ কয়েকদিন আগে সেখানে গিয়ে চিকিৎসার পাশাপাশি হোটেলে থেকে অন্যান্য খরচ সামলে এখন প্রায় নিঃস্ব ইসলামপুরের রুমপি চাকী।

illness | newsfront.co
হায়দ্রাবাদ থেকে হোয়াটসআপে পাঠানো ছবি

উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর কে এম সি মোড় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা তিনি। তিনি তার অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে চিকিৎসা করাতে হায়দ্রাবাদ নিয়ে গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে তার অভিভাবক হিসেবে গিয়েছিলেন তিনি যে স্কুলে চাকরি করেন সেখানকার দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক গোলাম মহিউদ্দিন।

আরও পড়ুনঃ করোনায় আতঙ্কিত এগরাবাসী

শিক্ষকের সঙ্গে তার পরিবারের তিন সদস্যও রয়েছেন। সব মিলিয়ে মোট আট জন। ওই এলাকার জনৈক বাসিন্দার আশ্রিত হয়ে রয়েছেন তারা। স্টেশনে থাকার জায়গা নেই। পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ সেখানটায় আস্তানা গেড়েছে। আর তাই এই বিপদের দিনে জনৈক বাসিন্দা আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি দু’মুঠো খাবার তুলে দিচ্ছেন।

কিন্তু এভাবে কতদিন থাকতে পারবেন তিনি জানা নেই তাদের। হায়দ্রাবাদে বসে চোখের জল ফেলতে ফেলতে রুম্পি দেবী জানান, এতদিন কোথায় থাকব জানিনা। আদৌ ফিরে আসতে পারবো কিনা তাও জানিনা। আমাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার উদ্যোগ নিক।

কারণ যারা এত দূরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে চিকিৎসার জন্য আসে তারা অসুস্থ থাকায় এ ধরনের আচমকা বন্ধ হয়ে গেলে ফিরতে পারবেন না। একদিকে আর্থিক সঙ্কট আর অন্যদিকে শারীরিক অসুস্থতা সবমিলিয়ে চরম সমস্যার সম্মুখীন তারা। একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করেন তিনি।

তারই ওই বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক গোলাম মহিউদ্দিনের সঙ্গে তিনি গেছেন সেখানে। তিনি এবং তার মায়ের পাশাপাশি তার স্কুলের মাস্টারমশাই ও তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য তাদের সাথেই আটকে রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, মায়ের চিকিৎসার জন্য দু’লক্ষ টাকা প্রয়োজন।

কারণ সেখানে একটা অপারেশন হবে। কিন্তু তাদের টাকা না থাকার জন্য পরবর্তীতে অপারেশন করাবেন এমনই মনোভাব নিয়ে গত বাইশ তারিখ ফিরে আসার জন্য ট্রেন ধরতে স্টেশনে আসেন। কিন্তু সেখানে এসে শুনেন কারফিউ লেগেছে। এরপর আর ফেরা হয়ে ওঠেনি লকডাউনের জন্য।

কি করবেন কিছুতেই ভাবতে পারছেন না। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ওই সব রাজ্যের প্রশাসনকে আটকে পড়া রোগী বা শ্রমিকদের যথাযথ ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেছেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here