নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলছে ষষ্ঠ দফার লকডাউন। পঞ্চম দফার লকডাউনেই শুরু হয়েছে আনলক-১। এই আনলক-১ পর্বে খুলে গিয়েছে বেশিরভাগ সরকারি, বেসরকারি অফিস, খুলে গিয়েছে গণপরিবহণ পরিষেবাও। বেশ কিছু বিধিনিষেধও এই পর্বে শিথিল করা হয়েছে। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আনলক-২।
এই পর্বেও রেল বাদে মোটামুটি সবকিছুই চালু রাখার সিদ্ধান্ত সরকারের। কিন্তু এইসবের কারণে আরও ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। তাই সবদিক বিচার করেই করোনা পরিস্থিতির কারণে সমস্ত শিক্ষক, গবেষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি এবং পরামর্শ দেওয়া উচিত। দেশের সমস্ত উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে সার্কুলার পাঠিয়ে এ কথা জানাল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।
আরও পড়ুনঃ দেশের তুলনায় বাংলায় বেকারত্বের হার কম, টুইট মুখ্যমন্ত্রীর
দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতির জেরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার মেয়াদ ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তাই এই অবস্থায় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সুরক্ষা এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য সমস্ত শিক্ষককে তাঁদের নিজের নিজের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে। কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে ৩০ জুন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ইউজিসি, এনটিএ ও এআইসিটিই সহ ভারতের সমস্ত স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষা সংস্থাগুলি ৩১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। যদিও ইউজিসি এখনও নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেনি। তবে আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই নতুন নিয়মাবলী প্রকাশ করবে কমিশন।
আরও পড়ুনঃ রাজ্য প্রশাসনে একাধিক দফতরে সচিবদের রদবদলের নির্দেশ
এইচআরডি মন্ত্রকের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩১ জুলাই পর্যন্ত যে সকল কর্মচারী বাড়ি থেকে কাজ করছে এবং যাদের বৈধ চুক্তি রয়েছে তাঁদের ৩১ জুলাই পর্যন্ত কর্তব্যরত হিসেবে গণ্য করা হবে। করোনা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে এবং করোনা সংক্রমণ রুখতে সার্কুলারে শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবাইকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ইনস্টল করতে বলা হয়। মন্ত্রকের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, সমস্ত কর্মী সদস্যদের এই সময়টি তাঁদের যথাযথ কাজে লাগাতে হবে। অতিরিক্ত সময় নিয়ে একাডেমিক দক্ষতা অর্জনের জন্য নতুন শিক্ষণ কৌশল শিখতে হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584