শ্যামল রায়,নবদ্বীপঃ
নবদ্বীপ কৃষ্ণনগর রোড এ গৌরাঙ্গ সেতু সংলগ্ন টোল ট্যাক্স কোন ঠিকাদার লিজ না নেওয়ায় কর্মচ্যুত হলেন বত্রিশজন শ্রমিক।
শুক্রবার থেকে কর্মচ্যুত হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা। কবে নাগাদ টোল ট্যাক্স লিজ নেওয়া মালিকের এক্তিয়ারভুক্ত কাজে যোগ দেবেন শ্রমিকরা সম্পূর্ণটাই অন্ধকারে বলে দাবি কর্মীদের।
শ্রমিকদের অভিযোগ যে টোল ট্যাক্সের লিজ নেওয়ার জন্য অর্থ সরকার চেয়েছে সেই অর্থ দিয়ে কোন মালিক বা এজেন্সি টোল ট্যাক্স দিতে রাজি নয়।তাই টেন্ডার হয়নি এই টোল ট্যাক্স।বর্তমানে কর্মচ্যুত শ্রমিকদের মধ্যে শুভম রায় কৃষ্ণ ঘোষ বাপন মন্ডল নাড়ু হাজরা সুব্রত বর্ধন হরি ঘোষ প্রমুখ দাবি করেছেন যে,বহু শ্রমিক আছেন যারা দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিককাল ধরে এখানকার টোল ট্যাক্সে কাজ করে আসছেন। কোন এজেন্সি টোল ট্যাক্স লিস্ট না নেওয়ায় শ্রমিকরা কর্মচ্যুত হয়ে পড়ায় চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়লেন।
জানা গিয়েছে যে বিগত দিনে যে এজেন্সি দুই বছরের জন্য লিজ নিয়েছিল সেই এজেন্সি দেড় কোটি টাকা লোকসান করেছে বলে দাবি সেই সময়কার ম্যানেজার শুভম রায়ের।
তাই এবছর অনেক বেশি টাকা দিয়ে টোল ট্যাক্স লিজ নিতে না পারার কারণে শ্রমিকরা কর্মচ্যুত হয়ে পড়েছেন। শ্রমিকদের সূত্রে খবর যে এই টোল ট্যাক্স ফি থেকে সরকার ২৪ ঘণ্টায় রাজস্ব আদায় করেছিল গত বছরে প্রায় এক লক্ষ ছয় হাজার টাকা করে। এই বছর এক লাফে সরকার লিজ বাবদ বাড়িয়ে দিয়েছে এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা করে টেন্ডার নেওয়ার কথা রয়েছে ২৪ ঘন্টায়।কোন মালিকপক্ষ এত টাকা দিয়ে টোল ট্যাক্স লিজ নিতে রাজি না হওয়ায় বন্ধ রয়েছে টোল ট্যাক্সটি।
প্রশ্ন উঠেছে টোল ট্যাক্স বন্ধ হবার কারণে সরকারের প্রচুর রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে কয়েকদিন ধরেই।
শনিবার টোল ট্যাক্সের কর্মচারিরা সকাল দশটা নাগাদ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
শ্রমিকদের দাবি সরকার লিজ বাবদ ভাড়ার টাকা কমিয়ে দিক এবং তাদের কাজের ক্ষেত্রটা নিশ্চিত করুক।পূর্ত দফতর টোল ট্যাক্সের লিজ বাবদ ও ভাড়া বাবদ বেশি পরিমাণ টাকা বৃদ্ধি করাতে চরম সমস্যা তৈরি হয়েছে। ফলে কোন মালিক লিজ নিয়ে টোল ট্যাক্স চালাতে রাজি হচ্ছেন না।শ্রমিকদের আরও দাবি পূর্ত দফতর বিবেচনা করে টোল ট্যাক্স চালু করুক এবং দীর্ঘদিন ধরে যে সমস্ত কর্মচারী রয়েছে তাদের কাজের ব্যাপারে নিশ্চিত করুক।
কর্মচ্যুত হয়ে পড়া শ্রমিকদের দাবি পুজোর মুখে চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়লেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি বিলীন হয়ে গেল কাজ না থাকার কারণে।
দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত শ্রমিক নাড়ু হাজরা ও কৃষ্ণ ঘোষ জানিয়েছেন যে সরকার গোটা বিষয়টি বিবেচনা করলে আমাদের চরম আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে।পুজোর মুখে কর্মচ্যুত হয়ে পড়ার কারণে সংসারের সদস্যদের মধ্যে আনন্দ উল্লাস পুজোর আনন্দটাই মাটি হয়ে গেল।আশা করছি সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।
নবদ্বীপ কৃষ্ণনগর এই রাস্তাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কেননা উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এই গৌরাঙ্গ সেতু।প্রতিদিন বহু যানবাহন বাড়ছে।কিন্তু কোটি কোটি টাকা লোকসান দিয়ে কোন এজেন্সীর পক্ষে সম্ভব না ট্রাক চালানো।তাই পূর্ত দফতর সমীক্ষা চালিয়ে ভাড়া ঠিক করুক।দাবি জানিয়েছেন বিগত দিনে কাজ করা বর্তমান কর্মচ্যুত শ্রমিকরা। এখন শ্রমিকদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা আদৌ কি তারা খুব তাড়াতাড়ি কাজে যোগদান করতে পারবেন না আরো কতদিন অপেক্ষা করতে হবে পুজোর মুখে কাজ হারিয়ে।
আরও পড়ুনঃ আক্রান্ত পাঁচ কোটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584