নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
সম্প্রতি একটি গবেষণা বলছে, ভারতের জনসংখ্যার ১% শিল্পপতিদের উপার্জন, গোটা দেশের জনসংখ্যার ৯৫৩ মিলিয়ন মানুষের উপার্জনের চারগুণ বেশি। এই ৯৫৩ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে গরীব, নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্তদের সংখ্যা ৭০ শতাংশ। বাকি ৩০ শতাংশ মানুষ উচ্চবিত্তের মধ্যে পড়ে এবং এই ৩০% এর মধ্যে ১% শিল্পপতি। এই শিল্পপতিদের বার্ষিক ব্যয়, গোটা দেশের বাজেটের থেকেও বেশি।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ৫০ তম বার্ষিক সম্মেলনে ‘টাইম টু কেয়ার’ নামের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ২,১৫৩ জন কোটিপতি, যাদের বার্ষিক আয় ৪.৬ বিলিয়ন(৬০ শতাংশ) মানুষের বার্ষিক উপার্জনের থেকে অনেক বেশি।
‘অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া’-র সিইও অমিতাভ বেহার একটি জাতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শেষ কয়েক বছরে ভারতে উচ্চবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের উপার্জনের ব্যবধান এতটাই বেড়ে গেছে যে এই ব্যবধান সহজে পূরণ করা মুশকিল। তিনি আরও জানিয়েছেন যে শেষ কয়েকবছরে পৃথিবী জুড়ে কোটিপতিদের সংখ্যাও আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুনঃ Breaking: সমস্যা মিটল হোয়াটসঅ্যাপের, এখন পাঠানো যাচ্ছে ছবি জিফ স্টিকার ভিডিও
এর ফলস্বরূপ লিঙ্গঅসমতা এবং উপার্জনঅসমতা এত বেড়েছে যে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। পাশাপাশি জানা গেছে, খুব কম সংখ্যক সরকারি সংস্থা এই অসমতা নির্মূলে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে।
আজ থেকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পাঁচদিন ব্যাপি একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যাতে এই বিষয়গুলি নিয়েই আলোচনা করা হবে।
আরও জানা গেছে, ২০১৯ এ গরীব ও বড়লোকদের উপার্জনের এই ব্যবধান সবথেকে বেশি বেড়েছে। এই বিষয়গুলি ‘ম্যাক্রোইকোনমিক ফ্র্যাজাইলিটিস’ এত পরিমাণে বাড়িয়েছে যা বিশ্ব অর্থনীতিকে সংকটের মুখে ফেলেছে।
আরও পড়ুনঃ সংসদে পাশ হওয়া আইন লাগু করা যাবে না বলা অসাংবিধানিক, মত সিবালের
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের রিপোর্ট বলছে শুধু ভারতই নয়, গোটা পৃথিবীর অর্থনীতিতেই এই অসমতা গভীর প্রভাব ফেলেছে, যার থেকে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, দূর্নীতি এবং সাংবিধানিক অধিকার হ্রাসের ক্ষয়িষ্ণু ঘটনা বেড়ে চলেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584