পল্লব দাস,বিশেষ প্রতিবেদনঃ
ছোটো বেলা ভূগোল বই এর রঙিন পৃথিবীর ছবিটার কথা মনে পড়ে ?আঙ্গুল দিয়ে কিছুটা নিচে নামতেই লেখা থাকত,”পৃথিবীর প্রায় দুই তৃতীয়াংশ জল এবং বাকি টুকু স্থল,”তবে এই জল সংকট কেন! সাত সাতটি মহাসাগর তার পর তো ছোটো বড় নদী নালা রয়েছে,তবে কেন এ যাবৎ এত সতর্ক বার্তা জল সংরক্ষণ নিয়ে,কেন এত সচেতনতা বৃদ্ধির স্লোগান !
আজ “ওয়ার্ল্ড ওয়াটার মনিটরিং ডে” এবার “নেচার ফর ওয়াটার ” থিম নির্ধারণ হয়। জলাশয় জীবাণু মুক্ত বা সুপেয় কি না এই বিষয়ে নিশ্চিত করে তোলা মূল বিষয়।সাথে জলের সংরক্ষণ বিষয় এ জোর দেওয়া হয়।
আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপদ জলের জন্য ভাবতে হবে,নচেৎ খুব বেশি দিন নেই যখন হয়ত বোতল বা বালতি হাতে ‘ওয়াটার পাম্প’ এর সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে কত টাকা লিটার জল দেখে নিয়ে নোট গুনতে হবে ।
পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ জলের মধ্যে ব্যবহারযোগ্য জল কম , বেশির ভাগ লবনাক্ত জল।ভূ বিজ্ঞানীদের মতে প্রায় ৯৭% জল লবনাক্ত বাকি ৩% জল ব্যবহার্য,কিন্তু এর মধ্যে ৭৪.৫% জল জমে রয়েছে পর্বতের তুষার হয়ে।এরপর কিছুটা বড় নদীতে;আর মাত্র ১-২ % জল আছে মাটির নিচে।সাধারণভাবে জলকে আমরা গৃহস্থালী – যেমন পানীয়, রান্না, স্নান, শৌচ কাজ, জামা কাপড় কাচা,বাসনপত্র ধোয়া,গৃহপালিত জীবজন্তু প্রতিপালন,কৃষিকাজ ও কল কারখানার কাজে ব্যবহার করি।জল দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক তবে এ বিষয়েও উদ্যোগের গতিহীনতা সমস্যার দিন ত্বরান্বিত করছে।
জল অপচয়ের সময় ভেবে দেখা দরকার যে ভবিষ্যতের পর কি দিন সামনে আসতে চলেছে।কলকাতার বেশ কিছু আবাসনে গুলির জলের অপচয় কমাতে মিটার বসানোর পরিকল্পনা চলছে। এরকম অনেক উদ্যোগ নিতে হবে জল সংরক্ষণ করতে। পরিকল্পনাহীন ভাবে ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করার দরুন জলের তল নেমে যাচ্ছে,যার খেসারত দিতে হবে আমাদের সবাইকে। উত্তর ও পূর্ব ভারতে স্বচ্ছ জলের স্তর উদ্বেকজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।পরিসংখ্যান অনুযায়ী যে সব দেশে ভৌম জলস্তর হ্রাস পাচ্ছে সেই সব দেশের মধ্যে ভারত অন্যতম। গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো স্বচ্ছ জল ঘাটতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিক সব নিয়ে পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হয়ে উঠছে।এই সংকট থেকে রক্ষা পাবার জন্য জলের অপচয় কমিয়ে সংরক্ষণ ও জলের পুনর্নবীকরণ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ দুর্ঘটনায় হেলমেটবিহীন বাইক আরোহীর মৃত্যু
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584