নিজস্ব সংবাদদাতা,দক্ষিন দিনাজপুরঃ
মরন ফাঁদ হয়ে আছে আত্রেয়ী খাঁড়ির উপর থাকা বালুরঘাটের গুরুত্বপূর্ণ ফুট ব্রিজটি ।হেলদোল নেই প্রশাসনের।দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছেন যাতায়াতকারী মানুষজনেরা।
জানাগেছে,দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রেয়ী নদী থেকে বেরিয়েছে একটি খাঁড়ি।শহরের কল্যানীঘাট থেকে বের হওয়া এই খাঁড়ি বালুরঘাট শহরকে দুইভাগে ভাগ করেছে।তিন প্রান্তে থাকা তিনটি সেতু দিয়েই চলে শহরের মানুষের যোগাযোগ কিন্তু বড় বাজারের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগে ঘাটকালি এলাকায় আরও একটি সেতুর দাবী উঠেছিল এক সময়।শহরের মানুষের দাবির গুরুত্ব বুঝে বাম আমলে তৎকালীন বাম পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভা একটি সেতু তৈরির উদ্যোগ নেয়।পুরসভার সেই প্রকল্পকে সার্থক রুপ দেয় পূর্ত দফতর।ঘাটকালি বরাবর আত্রেয়ী নদীর উপড় একটি ফুট ব্রিজ করা বছর কুড়ি আগে।লম্বায় ১০০ মিটার ও চওড়ায় ৬ ফুটের ব্রিজটি করা হয়।তবে পিলার ও পাটতনগুলি হয়েছে সিমেন্ট কংক্রিট।পূর্ত দফতরের মাধ্যমে তৈরি ব্রিজটির রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব থাকে বালুরঘাট পুরসভার।দীর্ঘ বছরের সেই ফুট ব্রিজটি দেখভাল করতে দেখা যায়নি কাউকে। জং ধরে খুলে গিয়েছে বেশ কিছু জায়গার লোহার রেলিং ও বিম।উন্মুক্ত হয়ে রয়েছে ব্রিজের একাধিক জায়গা।এতেই আতংক দেখা দিয়েছে যাতায়াতকারী মানুষদের মধ্যে।এদিকে তৃণমূল পরিচালির বালুরঘাট পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২২ অক্টোবর।পুর পরিচালনার দায়িত্বে বসেছে প্রশাসক।গত পাঁচ বছরের সময়কালে এই সেতুর রক্ষনাবেক্ষনে বিগত পুরবোর্ড সম্পুর্ন ব্যর্থ বলেই অভিযোগ তুলেছে বিরোধী বামেরা।রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব পুরসভার উপড়।তারা তাদের সময় গুরুত্ব দিয়ে তা পালন করেছেন কিন্তু বিদায়ী তৃণমূলের পুরবোর্ড এই দিকে নজর দেয়নি।অপ্রয়োজনীয় কিছু কাজ করে আর্থিক দূর্নীতিতে জড়িয়েছে।শহরের মধ্যে এমন উদাহরণ হল,প্রাইভেট বাসস্ট্যান্ডের সামনে থাকা ওভারব্রিজটি।
অন্যদিকে, বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসক তথা মহকুমা শাসক ঈশা মুখোপাধ্যায় বলেন, শহরের সব দিকে থাকা সেতুগুলির উপড় নজর রয়েছে তাদের। ইঞ্জিনিয়াররা সেগুলি দেখছেন।এই ফুট ব্রিজটিও তারা নজরে রেখেছেন।শহরের মানুষের বসবাসে যাতে আরো উন্নতি করা যায় সেগুলি দেখছেন তারা।
আরও পড়ুনঃ কালনায় গাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584