প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা,প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুরাহা

0
81

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

নারায়ণগড় ব্লকের হেমচন্দ্র কানুনগো চক্রের বড়মোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থার জন্য পঠন-পাঠন চলছে বারান্দায়।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মনিষা ঘোষের অভিযোগ প্রায় চার বছর ধরে বিদ্যালয়ের পলেস্তারা খসে পড়ছে জল পড়ছে।সংশ্লিষ্ট দফতর সহ প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতরে বারবার জানিয়েও কোন সুরাহা হচ্ছেনা।এই বিদ্যালয়ে শিশুশ্রেনী থেকে চতুর্থ শ্রেনী পর্যন্ত ১৫৭ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছেন। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ছয় জন,কিন্তু সঠিক পরিকাঠামো না থাকার জন্য ছাত্র-ছাত্রী দের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না তাঁদের অভিভাবক-অভিভাবিকারা।তাদের অভিযোগ স্কুলের পলেস্তারা খসে পড়ছে, জল পড়ছে তবুও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের।প্রসংগত গত ১৪ জুলাই ২০১৫ তারিখ স্কুল ছুটির পর দোতলার ছাদ ও একতলার দুটি শ্রেনীকক্ষের বিশাল অংশের পলেস্তারা খসে পড়ে।তার পরই প্রয়োজনীয় সমস্ত দফতরে লিখিত আবেদনের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয় সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
শর্মিলা মুর্মু নামে এক অভিভাবিকা বলেন, মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে শান্তিতে ঘরে থাকতে পারিনা।এমনিতেই ভাঙ্গা স্কুল তার ওপর কখন যে কি দুর্ঘটনা ঘটবে তার কোন ঠিক নেই।তাই মেয়কে স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়।

বেহাল স্কুল বিল্ডিং। নিজস্ব চিত্র

তৃপ্তি দাস নামে এক মহিলা বলেন, আমার ছেলে ক্লাস ওয়ান-এ পড়ে। ছেলেকে স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়।যে কোন মুহুর্তে স্কুল ভেঙ্গে পড়তে পারে।যতক্ষন ছেলে স্কুলে থাকে ততক্ষন আমরা চিন্তায় থাকি।নন্দীনি চক্রবর্ত্তী নামে এক অভিভাবিকা বলেন স্কুলের ভেতর জল ঢুকছে। কখনও ছাদ ভেঙ্গে পড়ছে, কখনও দেওয়াল ভেঙ্গে পড়ছে।বারান্দায় ক্লাস হচ্ছে।খুব কষ্ট হয় ছেলে মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে। বিদ্যালয়ের সহশিক্ষক সঞ্জয় পন্ডিত বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আমি এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করি। ২০‍১৫ সাল থেকেই বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা।ছাদ ভেঙ্গে পড়েছে নিচের দুটি কক্ষের পলেস্তারা খসে পড়েছে।বাধ্য হয়ে তিনটে ক্লাস বারন্দায় করতে হয়।এদিকে বর্ষাকাল বলে জলও ঢুকছে।সব মিলিয়ে একটা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে স্কুল চলছে।
সহশিক্ষিকা মুমু প্রধান বলেন,এখন সমস্য এতটাই বেড়ে গেছে যে বেশি বৃষ্টি হলে ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি ফিরিয়ে দিতে হয়। পাশাপাশি অফিস ঘরেরও পলেস্তারা খসে পড়েছে তাই আমাদেরও অফিসে বসতে বসতে ভয় হয়। একবার নয় বারবার বিভিন্ন দফতরে জানানো হয়েছে কিন্তু বিদ্যালয় সংস্কারে কেউই কোন উদ্যোগ নেয়নি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here