সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
গভীর জঙ্গল থেকে শালপাতা তুলে আনা। তারপর সেই শালপাতাকে থালার রূপ দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা এখানের নিত্যদিনের জীবনচর্যা।এখানে বলতে আউশগ্রামের জঙ্গল ঘেরা আদুরিয়া,দেবশালা,কুচিডাঙা সহ বেশ কিছু গ্রাম।কিভাবে এই শালপাতা তৈরি হয়? সুন্দর টুডু বলেন,বাড়ির মহিলারা গভীর জঙ্গল থেকে প্রথমে শালপাতা তুলে আনেন।তারপর কুচি কাঠি দিয়ে সেলাই করে তৈরি হয় থালা কিন্তু থালা তৈরি করতে গেলে আগে রোদে শুকাতে হয়। আর এখানেই সমস্যায় পড়ছেন এখানকার বাসিন্দারা।
তার কারণ থালা শুকানোর মতো বড় কোনো সেড বা জায়গা নেই যেখানে অনেক থালা একসাথে শুকানো যাবে।এই থালাগুলি বাড়ির উঠোনে শুকাতে দেওয়া হয়।এতে সমস্যা হচ্ছে যখন বৃষ্টি পড়ে তখন আর থালা শুকানোর মতো জায়গা থাকে না।তখন এই ব্যবসার পুরোটাই মার খায়।প্রান্তিক এই মানুষগুলির আক্ষেপ প্রশাসনের নজর পড়লে এই শিল্পকে আরেকটু ভালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে, অথচ সে রকম নজর দেওয়া হচ্ছে না। বাসিন্দাদের বক্তব্য, এমনিতেই শালপাতার মজুরি খুবই কম।তবুও তাতেই ভরণপোষণ করতে চালাতে হয় সংসার।তাছাড়া এখন থার্মোকল এবং প্লাস্টিকের পাতা আসার পরে শালপাতার প্রচলনের যে রেওয়াজ ছিল তা অনেকটাই কমেছে।তার সাথে যদি বৃষ্টি পড়লেই কাজ বন্ধ রাখতে হয় তাতে টান পড়ে ভাঁড়ারে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি সহানুভুতির সাথে বিবেচনা করার কথা বলেন,তবে আদতে কতটা সাহায্য পাবে এই পাতা শিল্পের লোকেরা সেটাই দেখার।
আরও পড়ুনঃ গুদাম থেকে মাছ চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্যতা পাল বাজারে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584