মোহনা বিশ্বাস, ওয়েবডেস্কঃ
পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাও কম নয়। এরই মধ্যে ঘটল এক অদ্ভূত ঘটনা। করোনায় আক্রান্ত এক তরুণের পরিবর্তে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো তাঁর দাদাকে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য-প্রশাসনের অন্দরে। এইরকম ভুল কী ভাবে হল? উত্তর দিতে নারাজ আধিকারিকরা।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, ৯মে ঝাড়গ্রাম শহরের ভিতর একটি গ্রামে ১৮ বছরের এক তরুণের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ১০মে তাঁকে পাঁশকুড়ার বড়মা করোনা হাসপাতালে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়। ওই তরুণের দাদা ওড়িশার সম্বলপুরে সোনার দোকানে কাজ করেন।
আরও পড়ুনঃ অর্জুনের এনকাউন্টারের আশঙ্কা, জবাব চাইলেন ধনখড়
লকডাউনের আগে ওই তরুণ সম্বলপুরে দাদার কাছে গিয়ে আটকে পড়েন। তারপর কিছুটা লরিতে ও কিছুটা হেঁটে ৭ মে তাঁরা ঝাড়গ্রামে পৌঁছান। ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটিতে পরীক্ষা করিয়ে তাঁরা হোম কয়ারেন্টাইনে ছিলেন। এরপরই করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে তরুণের। তবে বৃহস্পতিবার জানা যায় যে, ওই তরুণের পরিবর্তে তাঁর ২২ বছরের দাদাকে বড়মায় ভর্তি করানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ প্রবল শক্তি নিয়ে মন্দারমণিতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় আমফান
এত বড় ভুল কিভাবে করলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা? উত্তর পাওয়া যায়নি কারোর কাছে। বড়মা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিকও মানছেন, ‘‘বিষয়টি আমিও শুনেছি। তবে ভর্তি হওয়া যুবক যদি করোনায় আক্রান্ত না হয়ে থাকেন, তাহলেও ভয়ের কিছু নেই। করোনা চিকিৎসায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা নেই।“ অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ভুল হয়ে থাকলে সেটা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়।“ তাহলে এই ভুলের দায় কার? উঠছে প্রশ্ন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584