মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
গোষ্ঠী কোন্দলে দীর্ঘদিন থেকে উত্তপ্ত কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের চান্দামারিতে সভা করল তৃণমূল যুব কংগ্রেস।রবিবার বিকেলে চান্দামারি নতুন বাজারের মাঠে ওই সভা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়, স্থানীয় বিধায়ক মিহির গোস্বামী, যুব’র সাধারণ সম্পাদক নিশীথ প্রামানিক সহ বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই চান্দামারি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও ব্লক সভাপতি খোকন মিয়াঁ অনুগামী হিসেবে পরিচিত ক্ষুদিরাম সরকারের প্রভাব বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে নিজের বিধানসভা এলাকার মধ্যে হলেও চান্দামারিতে সেভাবে মিহির গোস্বামীকে দেখা যায় নি।এদিন ৮ জানুয়ারি রাসমেলার মাঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ও ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সভার প্রচারের জন্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ওই সভার ডাক দেওয়া হয়। সেখানে বিধায়ককেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। কিন্তু বিধায়ক মিহির গোস্বামী বিরোধী শিবিরের কোন নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
বিধায়ক বিরোধী শিবিরের অনেকেই অভিযোগ করে জানান, যুবকে দিয়ে এলাকার দখল নিতেই এই সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল। বিধায়ক বিরোধী শিবিরের নেতা হিসেবে পরিচিত কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি খোকন মিয়াঁ বলেন, “চান্দামারিতে নতুন করে যাতে অশান্তির সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য স্থানীয় নেতৃত্বদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। এর থেকে বেশী কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে ওই এলাকার মানুষের পাশে আমরা ছিলাম, থাকবো।”
বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বেশ কিছু সভা হয়েছিল। সেই সব সভায় আমি ছিলাম। তারপর এদিন প্রথম বড় সভা হল। এদিনের সভাতেও এসেছি।তবে এমনিতে মাঝে মধ্যেই ওই এলাকায় গিয়েছে।” গোষ্ঠী লড়াই নিয়ে বিধায়ক দলের জেলা নেতৃত্বদের ছাত্র, যুব, শ্রমিক,কৃষক সহ সকলকে এক সাথে নিয়ে চলার পরামর্শ দেন।আর তা করতে পারলেই সব বিরোধ মিটে যাবে বলে বিধায়কের অভিমত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584