শুভেন্দু হাওলাদার,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
প্রায় ১৫০ বছর ধরে পূজিতা হচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড় ব্লকের গনুয়ার কালী মা। জাগ্রত দেবীর বহু ঘটনার কারনে লক্ষ্যাধিক মানুষের সমাগম হয় এই পুজোকে কেন্দ্র করে।
এই দেবী নাকি সবং থানার বেলকি-র সাউ পরিবারের। অর্থাৎ সাউ বাড়ির জায়গাতেই মায়ের আবির্ভাব। কথিত আছে সাউ পরিবারের এক মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে । যা দুরারোগ্য কঠিন ব্যাধিতে পরিণত হয়। মেয়ের চিকিৎসার জন্য তৎকালিন প্রতিপত্তিশালী সাউ পরিবার মেয়ে কে কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের বহু জায়গায় নিয়ে গেছেন কিন্তু কোন লাভ হয়নি। অবশেষে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ট্রেনেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়েটি। কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে শোকে ভেঙ্গে পড়ে পরিবারের লোকেরা। তখনই সাউ পরিবারের তৎকালিন কর্তাকে স্বপ্নাদেশ হয় যে কোথাও গিয়ে কোনও লাভ হবে না মেয়েকে যদি সুস্থ করতে হয় তা হলে গনুয়া যাও। ওখানে তোমাদের জায়গায় মাটি চাপা হয়ে আছি আমি সেখান থেকে আমাকে বের কর। আমার পুজো শুরু করো। এই স্বপ্নাদেশ পেয়ে তত্ক্ষণাত সাউ পরিবারের লোকজনেরা গনুয়ার আজকে যে জায়গায় মন্দির স্থাপিত হয়েছে সেখানে যান। গভীর জঙ্গল কেটে শুরু হয় খনন কার্য।যা পাওয়া যায় তা হল দুটি কালো পাথর আর একটি ত্রিশূল। আর তাতেই ভক্তি ভরে মায়ের পুজো শুরু করেন সাউ পরিবারের লোকজনেরা।
আর সঙ্গে থাকে অসুস্থ মেয়েটিও। পুজো শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মেয়েটি। এত ডাক্তার বৈদ্য যে মেয়েকে সুস্থ করতে পারেনি দুটো পাথরের পুজো করার যখন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তখনই মানুষ নিজেদের অসুবিধার কথা জানিয়ে মায়ের কাছে মানত করতে ছোটে। সকলেরই মনোস্কামনা পূর্ণ করেন গনুয়ার কালী মা। সেই থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মায়ের কাছে পুজো দেওয়ার ভিড়। আজ সেই পুজো লক্ষাধিক মানুষের ভিড়ে পরিণত হয়েছে।
বহু দিন ধরে পারিবারিক পুজো থাকলেও মানুষের অতিরিক্ত ঢলের কারণে এই পুজোকে সার্বজনীন রূপ দিতে হয়। বিগত দশ বছর ধরে সর্বজনীন পুজো হিসেবে পূজিতা হচ্ছেন গনুয়ার কালী মা।
আরও পড়ুনঃ আচমকা রেল গেট লক,দীর্ঘক্ষণ বন্ধ যাতায়াত
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584