নিজস্ব সংবাদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
ঝাড়গ্রাম জেলা করোনা শূন্য হল। আক্রান্ত ১৯ জনই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। জেলায় মোট ৬৫১৬ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। রিপোর্ট এসেছে ৬০১৬ জনের।
তার মধ্যে ওই ১৯ জন ছাড়া সকলের রিপোর্টই নেগেটিভ ছিল। ১১ জন হাসপাতালে চিকিৎসা করান এবং আটজনকে রাখা হয় ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ার সরকারি ‘সেফ হোমে’। সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন। জেলায় কোনও আক্রান্তের মৃত্যু হয়নি। ফলে অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, যে ১৯ জনের করোনা ধরা পড়েছিল, তার মধ্যে ১৮ জনই পরিযায়ী শ্রমিক। পরিযায়ী শ্রমিকদের একজন ওড়িশা থেকে বাকি সকলে মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছিলেন।
গত ১৪ জুন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জেলায় নতুন করে আটজন করোনা আক্রান্ত বলে জানানো হয়েছিল। তাদের শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ না থাকায় সরকারি সেফ হোমে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। সকলেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। গত এক সপ্তাহে জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্তেরও কোনও খবর নেই।
আরও পড়ুনঃ করোনা জয়ী ছাত্রীকে সংবর্ধনা জানালেন পুর কাউন্সিলর
এপ্রিল মাস থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন গ্রামে করোনা আতঙ্ক ছড়ায়। জেলার একাধিক গ্রামে বাসিন্দারা বাঁশ দিয়ে এলাকার রাস্তা ঘিরে দেন। আতঙ্কের জেরে বাইরের মানুষজনকেও গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। যদিও সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই পাল্টেছে। এখন জেলা, শহর থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গাতেই মানুষজন রাস্তায় বের হচ্ছেন।
বাইরের রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। স্কুলেও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করে অনেককে রাখা হয়েছে। বর্তমানে ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুর ও নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
এছাড়াও দু’টি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে ব্লকগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঝাড়গ্রামের গুপ্তমণি ও জামবনীর চিচিড়া সীমান্তে কিয়স্ক বসানো হয়েছে। সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশন করে থার্মাল স্ক্রিনিং করার পর বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584