বিয়ের সঞ্চিত টাকায় অভুক্তদের পেট ভরালেন অটোচালক

0
42

মোহনা বিশ্বাস, ওয়েবডেস্কঃ

করোনা মহামারীর প্রকোপে ত্রস্ত গোটা পৃথিবী। ভারতেও জাঁকিয়ে বসেছে কোভিড-১৯। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলছে চতুর্থ দফার লকডাউন। আর এই লকডাউনের জেরেই বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। অনাহারে দিন কাটছে তাদের। অনেকের খেতে না পেয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় ভিন রাজ্যে আটকে থাকা অভুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের মুখে অন্ন তুলে দিলেন পুনের এক অটো চালক।

Akhasay Kothwala | newsfront.co
অক্ষয় কোঠাওয়ালে। ছবিঃ ইন্ডিয়া টাইমস

মহারাষ্ট্রের পুনের বাসিন্দা অক্ষয় কোঠাওয়ালে পেশায় একজন অটো চালক। ৩০ বছর বয়সী ওই অটো চালক ২৫মে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতেন। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখেন অক্ষয়। বিয়ের জন্য ২ লাখ টাকা সঞ্চয় করে রেখেছিলেন তিনি। এদিকে, লকডাউনের জেরে বিয়ের অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তাই বিয়ের জন্য সঞ্চয় করে রাখা ২ লাখ টাকা দিয়ে দেশের এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন ওই অটোচালক।

আরও পড়ুনঃ লকডাউনে কর্মীদের বেতন দেওয়া আর বাধ্যতামূলক থাকল না: কেন্দ্র সরকার

social work | newsfront.co
পরিযায়ীদের খাদ্য প্রদান। ছবিঃ ইন্ডিয়া টাইমস

অক্ষয় কোঠাওয়ালে বলেন, “দেশের এই দুর্দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ। বিয়ে যখন লকডাউনের জন্য স্থগিত হয়ে গেল তখন বিয়ের জন্য সঞ্চয় করে রাখা টাকা দিয়েই ওই অভুক্ত মানুষগুলোর কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথা ভাবলাম। বিয়ে পরে হবে। এই মুহূর্তে মানুষের পাশে থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।”

প্রতিদিন প্রায় ৪০০জন পরিযায়ী শ্রমিক ও দুঃস্থ মানুষের কাছে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন অক্ষয়। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করছে তাঁর বন্ধুরা। লকডাউন শুরু হওয়ায় পর থেকেই দুঃস্থদের মুখে এভাবেই অন্ন তুলে দিচ্ছেন পুনের ওই অটোচালক। ৩১মে পর্যন্ত অর্থাৎ চতুর্থ দফার লকডাউন যতদিন চলবে ততদিন এই কর্মসূচী পালন করবেন অক্ষরহয় কোঠাওয়ালে। দেশের এই কঠিন সময়ে একজন অটোচালকের এহেন কর্মসূচী সত্যিই প্রশংসনীয়।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here