শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
যৌনকর্মীর মেয়েকে নিজের সন্তান বলে দাবি করে নিজেকে তার সৎ বাবা বলেছিল এক যুবক। এদিকে মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগে সেই কিশোরী মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল সৎ বাবার বিরুদ্ধেই। সম্প্রতি ওই কিশোরী ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানতে পারেন বড়তলার মনিরুদ্দিন লেনের প্রতিবেশীরা। এরপরেই শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্যাতিতার সৎ বাবা সঞ্জয় পাত্রকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, কিশোরীর বাবা বছর দশেক আগে স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যান। তারপর থেকে পেটের তাগিদে বড়তলার নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় যৌনকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন কিশোরীর মা। এখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় অভিযুক্ত সঞ্জয় পাত্রের।তারপর থেকে কিশোরীর মা মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সঞ্জয় পাত্র নামে বড়তলার বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। সেই সময় নির্যাতিতা মাত্র দু’বছর বয়সী ছিল।
আরও পড়ুনঃ একই দিনে চারটি পৃথক ঘটনায় গ্রেফতার ৫ দুষ্কৃতী
কিশোরীর মায়ের দাবি, সঞ্জয় মেয়ের সঙ্গে আগে কখনই অশালীন ব্যবহার করেনি। তবে দু মাস আগে ওই মহিলা খেয়াল করেন, তাঁর কিশোরী মেয়ের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করান। শনিবার সকালে রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই তিনি জানতে পারেন, কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। এরপর মেয়েকে বকাঝকা করতে শুরু করলে তিনি জানতে পারেন, মেয়ের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পিছনে রয়েছে তার সৎ বাবার বিকৃত যৌন লালসা। মাকে খুনের হুমকি দিয়ে প্রতিদিনই কিশোরী মেয়েকে সৎ বাবা ধর্ষণ করত বলেই অভিযোগ।
এরপরেই সঞ্জয়ের কুকীর্তির কথা প্রতিবেশীদের জানান কিশোরীর মা। তখনই সঞ্জয়কে বাড়ি থেকে টেনে বের করে আনেন প্রতিবেশীরা। এরপর বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। পরে বড়তলা থানার পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584