নিউজফ্রন্ট ডেস্ক:
কয়েকদিন ধরেই মাইকিং, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার ও অন্যান্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে হন্যে হয়ে খোঁজা হচ্ছে সেই সমস্ত যাত্রীদের যারা নদীয়ার তেহট্টের করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে লালগোলা প্যাসেঞ্জারে ২০ ই মার্চ সহযাত্রী হিসেবে ছিলেন।এতদিন কোন সাড়া না পাওয়া গেলেও রবিবার এক মহিলা ‘তেহট্ট আক্রান্তের সঙ্গে লালগোলা প্যাসেঞ্জারে ছিলাম’ দাবি করে মহকুমা প্রসাশনের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা।
উল্লেখ্য,গত ১৬ই মার্চ পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছিল নদীয়ার তেহট্টের সেই পরিবার। তাদের মধ্যে ২৭ বছরের তরুণীর সম্পর্কে ভাই যুবক লন্ডন থেকে ফিরে ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। দিল্লিতেও নদিয়ার পরিবারের আত্মীয়দের বাড়ি রয়েছে। দিল্লিতে অনুষ্ঠানেরই পর অসুস্থ হয়ে পড়েন লন্ডন ফেরত ওই যুবক। তাঁকে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর নমুনা পরীক্ষায় মেলে নভেল করোনা ভাইরাস। গোটা পরিবারকে গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকার নির্দেশ দেয় দিল্লির স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে আর ফিরতে পারবেন না বুঝতে পেরে ওই নির্দেশ না মেনেই তারা দিল্লি থেকে বেরিয়ে আসেন।
ওই তরুণী তখনও জানতেন না, তার শরীরেও বাসা বেঁধেছে মারণ করোনা ভাইরাস। ১৯শে মার্চ সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে নিউ দিল্লি-শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেসে ওঠেন সকলে। ২০ মার্চ সাড়ে ১০ টা নাগাদ শিয়ালদহ পৌঁছান। সেখান থেকে লালগোলা প্যাসেঞ্জার করে পৌঁছে যান নদিয়ার তেহট্টে। সেখান থেকে অটোয় করে বাড়ি এসে নামেন। শুধু তাই নয়, কাউকে কিছু না জানিয়ে পরের দিন তেহট্টেও একটি অনুষ্ঠানে সামিল হন সকলে। আর এর ফলেই ওই দুই ট্রেন যাত্রীরা সহ প্রচুর স্থানীয় মানুষও আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ২৩শে মার্চ সকালে আচমকা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন ২৭ বছরের এক মহিলা। স্থানীয় হাসপাতালে গেলে সন্দেহ হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকরা যোগাযোগ করেন স্বাস্থ্য ভবন ও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তার পরেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সমস্ত তথ্য জানা যায়। শুক্রবার নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হদিশ মেলে রিপোর্টে। একজন ছাড়া বাকিদের উপসর্গও দেখা যায়নি।
অর্থাৎ সংক্রমিত ব্যাক্তির সংস্পর্শে আসার পর রাজধানী, লালগোলা এমনকী অটোতেও ওঠেন তাঁরা। আর এতেই প্রচুর মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। ইতিমধ্যেই তেহট্টের ২০ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখলেও রাজধানী এক্সপ্রেস ও লালগোলার বহু যাত্রী সংক্রমিত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই মহকুমা প্রসাশনের দ্বারস্থ মহিলার উদ্যোগকে সাধুবাদ ও অনুসরণীয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। বাকি যাত্রীদের তল্লাশির দুঃসাধ্য কাজ একটু হলেও অনুপ্রেরণা পাবে আজকের এই মহিলার পদক্ষেপে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584