উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
রবিবারই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে হাত মেলাতে পারে বাম-কংগ্রেস শিবির রাজনৈতিক মহলে এরকমই জল্পনা। তাই আব্বাসের সঙ্গে জোট চেয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠিও লিখে ফেলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। এই চিঠিতে আব্বাসের সঙ্গে জোট করার অনুমতি চেয়েছেন মান্নান।
কংগ্রেস সভানেত্রীকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, “আপনি অনুমতি দিলেই জোট নিয়ে কথাবার্তা এগোব।“ প্রসঙ্গত, এর আগে সিদ্দিকি বলেছিলেন, সাত ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাম-কংগ্রেস জোটে তাঁর দলকে না রাখলে তিনি সব আসনেই আলাদা প্রার্থী দিতে তৈরি। এর আগে প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্র সিদ্দিকী দলকে জোটে চেয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী ছিলেন।
রাজ্যে বিজেপির আগ্রাসন ঠেকাতে সমস্ত বিরোধী দলকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিল সিদ্দিকি । কিন্তু রাজ্যের শাসকদলের তরফে তেমন সাড়া মেলেনি। তবে রাজ্যের সিপিএম কংগ্রেস জোট নেতৃত্ব তাঁর ডাকে সাড়া দেয়।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী সফরের আগে অভিষেকের সভা পূর্ব মেদিনীপুরে, তুঙ্গে প্রস্তুতি
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের তরফে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বামেদের তরফে মহম্মদ সেলিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মূলত বিরোধী দলনেতাই সিদ্দিকির সঙ্গে কথাবার্তা চালান। বিজেপি বিরোধিতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার স্বার্থে জোট শিবিরে আসতে রাজি হন বলে খবর। কিন্তু ফুরফুরা শরীফের এই পীরের এই দাবি চিন্তায় ফেলেছে আলিমুদ্দিন ও বিধানভবনের ভোট ম্যানেজারদের।
কমপক্ষে ৪০ টি আসন আইএসএফকে দিতে হবে বলে জোট নেতাদের শুনিয়ে রাখেন সিদ্দিকী। আবার তাঁকে এতো আসন ছাড়াও সম্ভব নয় বলে মনে করছে জোটের নেতারা। তাই আপাতত কুড়িটি আসন ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে। ওইদিনই রয়েছে জোটের তৃতীয়দফার আসনরফার বৈঠক।
আরও পড়ুনঃ দলের অন্দরেই প্রশ্নের মুখে কানহাইয়া
প্রথম দুটি বৈঠকে ১৯৩টি আসনে রফা করে ফেলেছে জোট শিবির। তৃতীয় দফায় বাকি ১০১ টি আসন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সেদিনই আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় জোট শিবিরের নেতারা। আব্বাসকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর। এখন আব্বাস সিদ্দিকি কি করেন সেদিকেই তাকিয়ে জোট শিবির। আইএসএসকে আসন ছাড়তে হলে সিপিএম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে থাকা আসন থেকেই তা দিতে হবে।
গত লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট সম্পূর্ণটাই চলে যায় তৃণমূলে। আব্বাস সিদ্দিকি এই জোট শিবিরে যোগ দিলে সেই ভোটের কিছু অংশ ফেরত আসার সম্ভাবনা থাকবে বলে জানিয়েছেন পার্টির রাজ্য কমিটির এক সদস্য। সবদিক বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584