পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
পণের দাবিতে স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠলো স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে ডালখোলা থানার ফতেপুর এলাকায়।মৃত ওই গৃহবধুর নাম সামেলা খাতুন(২১)।
এই ঘটনায় সামেলা খাতুনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শ্বশুরবাড়ির পরিবারের বিরুদ্ধে।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ডালখোলা থানার ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা জামেরুল ইসলামের সাথে বছর তিনেক আগে ডালখোলা থানার ভগবানপুর গ্রামের বাসিন্দা সামেলা খাতুনের সাথে বিয়ে হয়।বিয়ের পরে সামেলা একটি পুত্র সন্তানেরও জন্ম দেয়।গত ছয় মাস আগে সামেলার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তার উপর অত্যাচার করতে থাকতো বলে অভিযোগ। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সামেলা তার স্বামী জামেরুল ইসলামকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়।সেখানে থাকার পর ছয় দিন আগে আবার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাদেরকে ডেকে নিয়ে আসে বাড়িতে।শ্বশুরবাড়িতে আসার পর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সামেলাকে তার বাপের বাড়ির থেকে টাকা আনতে বলে এবার সামেলার স্বামী,শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদ তার উপর অত্যাচার করতে থাকে।সামেলার বাপের বাড়ির লোকজন এসে তার মীমাংসা করে চলে যায়।এই টাকার জন্য তারপরেও সামেলার উপর অত্যাচার চালাতো শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।আজ সকালে সামেলার শ্বশুরবাড়ির গ্রামে লোকেরা বাপের বাড়ির লোকেদের খবর দেয় তার মেয়ে করনদিঘী হাসপাতালে ভর্তি আছে।সেই কথা শুনে তারা করনদিঘী হাসপাতালে ছুটে এসে দেখে সামেলার পুরো শরীর আগুনে পোড়া। তড়িঘড়ি সামেলাকে তার পরিবারের লোকেরা রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসলে সামেলার মৃত্যু হয়।সামেলার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ সামেলার স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ী ও ননদ গায়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে।যারা সামেলাকে মেরেছে তাদের শাস্তি চাই।
এই ঘটনায় ডালখোলা থানায় সামেলার শ্বশুরবাড়ি লোকেদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।ঘটনার পর থেকে পলাতক স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।তাদের খোঁজে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ চা বাগান কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584