ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল সন্ন্যাসী মহারাজের বিরুদ্ধে

শ্যামল রায়,নবদ্বীপঃ
চৈতন্য ভূমি নবদ্বীপ শহরে এক মন্দিরের মহারাজ অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।নবদ্বীপ থানার পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ওই সন্ন্যাসী মহারাজ কে গ্রেপ্তার করেছে।নবদ্বীপ আদালতে পাঠালে ধৃত মহারাজ দিনো কৃষ্ণ দাস মহারাজ কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ঘটনাটি ঘটেছে নবদ্বীপ শহরে চৈতন্যের জন্ম স্থান প্রাচীন মায়াপুরে।এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।বুধবার জানা গিয়েছে যে এক নাবালিকার যৌন হেনস্তার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ উঠেছে।এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ যে ওই মন্দিরের মহারাজের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে এসেছেন ওই নাবালিকার মা। আর কেউ কেউ ওই নাবালিকার মা কেই দোষারোপ করেছেন।অন্যদিকে মহারাজ এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকেই।
জানা গিয়েছে যে অভিযোগকারিণী নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছে যে “আমার মেয়ে স্থানীয় অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। বাড়ির সাথে লাগোয়া নিতাই গৌড় মন্দিরে আমার মেয়ে কীর্তন গাইতে রোজ ওই মন্দিরে যেত।কয়েকদিন আগে আমার মেয়েকে ওই মন্দিরের প্রধান দিন কৃষ্ণ দাস যৌন হেনস্থা করা ভীষণ ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।”এখন তার চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী।
এই ঘটনায় বিচার চেয়ে নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ যে মন্দির এবং তাদের বাড়ির জমি সংক্রান্ত গণ্ডগোলের জেরে ওই মঠের মহারাজ কে বেকায়দায় ফেলার জন্যই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে এসেছেন ওই মহিলা।এলাকার বাসিন্দারা আরো জানিয়েছেন যে ওই মন্দিরের মহারাজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবেই মিথ্যা এটা পরিকল্পিত ভাবেই এক ধরনের চক্রান্ত বলেই মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিবেশীদের আরো অভিযোগ যে কয়েক মাস আগেই অভিযোগকারিণী তার স্বামী কেউ এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বাড়িছাড়া করেছে এর পিছনে অন্য কারণ লুকিয়ে আছে বলেই মনে করছেন।
তবে আরো জানা গিয়েছে যে এলাকার বাসিন্দাদের ভয়ে বুধবার থেকে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন ওই নাবালিকার মা ও মেয়ে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুনঃ বনধের দ্বিতীয় দিনে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও স্বাভাবিক জনজীবন