মনিরুল হক,দিনহাটাঃ
শাসক দলের বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির কাজিয়ায় প্রকাশ্যে এলো গীতাঞ্জলী প্রকল্প সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ।তৃণমূল কংগ্রেসের দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি মীর হুমায়ূন কবীর এমএলএ ফান্ডের ও গীতাঞ্জলী প্রকল্পে ঘর দেওয়া নিয়ে টাকা আদায়ের কথা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দিনহাটার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বকে।
মীর হুমায়ূন কবীর অভিযোগ করে বলেন, “এমএলএ ফান্ডে উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে বিধায়কের কথায় কাট মানি তুলে বিধায়ককে দিতে হয়েছে।গীতাঞ্জলী প্রকল্পে ঘর দিতে গিয়ে টাকা তুলে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য যদি আমাকে দুর্নীতি গ্রস্ত বলা হয়।তাহলে আমি দূর্নীতি গ্রস্ত।”
ব্লক সভাপতির ওই বক্তব্য নিয়ে বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “ ওই প্রকল্পে আসা সমস্ত ঘর আমি ওকে দিয়ে বণ্টন করিয়েছি। এর জন্য যদি কোন টাকা আদায় করা থাকে।তাহলে সেটা আমার অজান্তে অন্যায় ভাবে করা হয়েছে।”
এক সময় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি সেই সম্পর্কে চির ধরেছে।আর এতেই দিনহাটার রাজনৈতিক সমীকরণে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।এক সময় ওই দুই নেতাকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলের যুব সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা গেলেও এখন চিত্র পুরোপুরি উল্টো। বিধায়কের সাথে যুব গোষ্ঠীর নেতা কর্মীদের ঘনিষ্ঠতা অনেক বেশী করে দেখা যাচ্ছে। ফলে এলাকা দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে ব্লক সভাপতি পন্থীদের সাথে উদয়ন বাবুর নতুন সাথী তৃণমূল যুব কংগ্রেস কর্মীদের কিন্তু লড়াইয়ের ওই পট পরিবর্তনের জেরে এভাবে দূর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে চলে আসবে,তা হয়ত অনেকেই বুঝে উঠতে পারে নি।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির সন্ত্রাস, পুলিশী নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে পথ অবরোধ তৃণমূলের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584