নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
খুব মনে পড়ে, ১ লা বৈশাখকে ছোটবেলায় বলতাম ‘একলা বৈশাখ’। সেই সময়েরই একটা কথা ভাগ করে নিতে আজ খুব ইচ্ছা করছে। নববর্ষের দিন সকাল সকাল স্নানটা সেরে নিতাম। পরে নিতাম দাদুর দেওয়া জামাটা। মা’ও সকাল সকাল সেরে নিতেন বাড়ির পুজোটা। কারণ তারপরেই নানা পদের ফরমাশ নিয়ে ঢুকতে হবে রান্নাঘরে।
ওইদিন সবার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেই মিলত ‘থোল খরচ’। মানে প্রণাম করলেই কেউ পাঁচ টাকা, কেউ দশ কেউ বা কুড়ি টাকা দিত হাতে। সেটা বারবার গুনে ঢুকিয়ে রাখতাম একটা ব্যাগে। ওই টাকাটা নিয়েই বেরোতাম বিকেলে মায়ের সঙ্গে হালখাতা করতে। তখন গায়ে চড়াতাম আরও একটা নতুন ফ্রক। পয়লা বৈশাখ ঘিরে জামা হত বেশ কয়েকটা।
একান্নবর্তী পরিবার। ফলে, কাকা, মাসি, মামা, দাদু, বাবা সবাই দিতেন সাধ্যমতো। খুব জমকালো কিছু না, কিন্তু সুন্দর। সারাদিনে পরা হত মাত্র দুটো। বাকিগুলো পরে ইচ্ছেমতো পরে নিতাম।মোদ্দাকথা, দারুণ একটা মজার দিন ছিল এই ১ লা বৈশাখ। এই তো গতবছরও কত আনন্দে ছিলাম।
আরও পড়ুনঃ বাঘাযতীনের মহৎ উদ্যোগে পাশে আছেন প্রিয়াঙ্কা
নতুন আশা, নতুন উদ্যম, নিজেকে নিজেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম কত! কত কী ভেবেছিলাম সেদিন, নতুন বছরে এটা করব, ওটা করব না- এরকম আরও কত কী! সবই ঠিক ছিল। হঠাৎ এক দমকা হাওয়া উড়িয়ে নিয়ে চলে গেল সব আশা, ভরসা আর প্রতিশ্রুতিগুলোকে।
এবছর পয়লা বৈশাখে সুতোটি কিনতে পারেননি বেশিরভাগ মানুষ। নতুন জামা তো দূর অস্ত। কে জানত এমন হবে? সবাই আজ কিনব কাল কিনব বলে অপেক্ষায় ছিলেন আরও ভাল কিছু স্টকের আশায়। কিন্তু ভাগ্যের কী পরিহাস! সবই গেল বিফলে। পয়লা বৈশাখ ঘিরে চৈত্র সেলে বেশ ভাল ব্যবসা করেন ব্যবসায়ীরা। সেখানেও কালো ছায়া। অধিকাংশের গায়েই এবার উঠবে না নতুন পোশাক।
তাঁদের কথা ভেবে আজ মুখ ভার সোনালী চৌধুরীর। তাই নিজের সাধ্য নিয়ে এগিয়ে এসেছেন তিনি।আলমারিতে পড়ে আছে নিজের কিছু নতুন জামা। যেগুলির কথা ভুলেই গিয়েছিলেন তিনি। এবার সেগুলির সদ্ব্যবহার করবেন অভিনেত্রী। সোনালী দান করতে চান সেই সব নতুন পোশাকগুলি। তাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584