নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
‘ফাদার্স ডে’ তে সবাই যখন বাবার সঙ্গে নিজেদের আবেগঘন সোনার মুহূর্ত পোস্টাতে ব্যস্ত তখন এক অন্য গল্প শোনালেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা ব্যানার্জি, অর্থাৎ ‘সাত ভাই চম্পা’ ধারাবাহিকের রাক্ষসী রানি মণিমল্লিকা, ‘গ্রামের রানি বীণাপানি’র খলচরিত্র সংযুক্তা ৷ টেলি ঝুলিতে আছে আরও অনেক চরিত্র।
একটা সময় বাবার রোজগার কম থাকায় আপনজনদের কাছ থেকে পেয়েছেন গঞ্জনা, হয়েছেন অপমানিত। একটা চাকরির জন্য দাদা ঘুরে বেরিয়েছেন কত জায়গায়। সুরাহা মেলেনি। আর্থিক কষ্টে দিন কাটাতে হত বাবা, মা, দাদা এবং অভিনেত্রীকে। আপনজনেরা অবস্থাসম্পন্ন হয়েও পাশে এসে দাঁড়ায়নি কখনও।
দাদা এবং অভিনেত্রীর পড়াশুনার খরচ, সংসারের সব খরচ সবই চলত তাঁর বাবার একার স্বল্প রোজগারের ভরসায়। তবু বাবাকে কখনও ক্লান্ত হতে দেখেননি তিনি। সাধারণ বাংলা মাধ্যমে পড়াশুনা করেছেন সুদীপ্তা। স্বল্পেই খুশি ছিল দুই পিঠোপিঠি ভাই বোন। এই সব কথাই ফেসবুকে ফাদার্স ডে-তে লিখেছেন সুদীপ্তা।
গরিব বলে ‘তুতো দিদিরাও পাশ কাটিয়ে চলে যেত। গায়ে গা লাগাও যেন পাপ ছিল ওদের সঙ্গে।…
বাবা যতটুকু দিতে পারতেন তাতেই বেজায় খুশি ছিলেন সুদীপ্তা আর তাঁর দাদা।
কখনও নিজেদের ভাললাগা নিয়ে বায়না করেননি বাবার কাছে। বাবাকে একবার এক জেঠুর আচরণে কাঁদতে দেখেছিলেন সুদীপ্তা। সেই দৃশ্য আজও চোখে ভাসে তাঁর। ছোটপর্দায় সুদীপ্তাকে নেগেটিভ রোলেই বেশি পেয়েছে দর্শক। তাতে দর্শকের মনে তাঁর উপরে রাগ জমে থাকে অনেক। কিন্তু কেউ কি জানত বাস্তবে এই অভিনেত্রীর জীবনে লুকিয়ে আছে এত ব্যথা।
আরও পড়ুনঃ ‘সাবাশ মিঠু’র ক্যাপ্টেন সৃজিত মুখার্জি
ফাদার্স ডে-তে দুই ভাই-বোনের বাবার ভূমিকা সকলের সামনে সুন্দর লেখনীতে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। এভাবেই বাবাকে ফাদার্স ডে-তে শ্রদ্ধা জানালেন অভিনেত্রী, যা সকলের থেকে আলাদা। অনেক বেশি মরমী আর স্পর্শকাতর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584