সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প বর্ধমানের উল্লাস মোড়ের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধারে মিষ্টি হাব। বর্তমানে মিষ্টি হবে প্রায় ২৫টি দোকান ঘর রয়েছে।
মাঝেসাঝে একটি দোকান খোলা হয়। বাকি দোকান বন্ধ থাকে। জেলা প্রশাসন বিনামূল্যে ব্যবসায়ীদের এই ঘরগুলি দিয়েছেন। বছরের পর বছর দোকান না খুলে ঘরগুলি মিষ্টি ব্যবসায়ীরা কেন আটকে রেখেছেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যদিও মিষ্টি ব্যবসায়ীদের দাবি, দূরপাল্লার বাস এখানে দাঁড়াচ্ছে না বলেই তাঁরা ক্রেতাও পান না। ফলে ব্যবসায় লোকসান হওয়ার আশঙ্কায় দোকান খোলা হচ্ছে না।
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্প চালু করতে বহুজাতিক খাদ্য-বিপণি সংস্থাকে নিয়ে এসে উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন। ব্যবসায়ী, বিধায়ক, জেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক।
বৈঠকে ঠিক হয়, বহুজাতিক সংস্থার ব্যবসায়ীদের জায়গা দেওয়া হবে, প্রয়োজনে একতলা বাড়ির ভবনটিকে তিনতলা করা হবে। জায়গাটিকে ফুড প্লাজায় পরিণত করা হবে বলে ঠিক করে প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ গাছের তলায় স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের সঙ্গে জেলাশাসকের বৈঠক
গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা নেই। তাই পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা যায়। দূরপাল্লার সরকারি বাস যাতে দাঁড়ায় সে ব্যবস্থাও প্রশাসন করবে বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও প্রশাসনের একাধিক কর্তা বলেন, শুরুর দিকে কয়েকটি দোকান খোলা ছিল। কিন্তু মিষ্টির গুণগতমান ভাল ছিল না। শুরুর থেকেই তাই লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছিল ব্যবসায়ীদের।
জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, মিষ্টি হাব চালু করার জন্য প্রশাসন সব রকম সহযোগিতা করবে।
মিষ্টিহাবের পাশেই আদিবাসীদের জাহের থান প্রকল্পের কাজ দেখতে যান জেলাশাসক। সেখানে আদিবাসীরা তাঁর কাছে একটি সরকারি জমি তাঁদের দেওয়ার জন্য বলেন জেলাশাসককে আবেদন করেন। বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584