মোহনা বিশ্বাস, হুগলিঃ
জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের সর্বত্র বিক্ষোভ চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারে বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব বিরোধীদলগুলি। করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। আর তার জেরেই দুর্বল হয়ে পড়েছে ভারতের অর্থনীতি। কর্মসংস্থানগুলি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। এরই মধ্যে লাগাতার বাড়ছে জ্বালানির দাম।
ফলে সমস্যায় পড়ছেন মধ্যবিত্তরা। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি একটা চাপা ক্ষোভ জন্মেছে আমজনতার মনেও। এই প্রসঙ্গেই সোমবার হুগলিতে জনসংযোগে এসে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বললেন, “করোনা পরিস্থিতির কারণে ভারতের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারওপর দেশজুড়ে চলছে লকডাউন।
আরও পড়ুনঃ শাঁখা, সিঁদুর না পরার অর্থ বউ বিয়ে মানে না, জানাল গুয়াহাটি হাইকোর্ট
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে অপরিশোধিত তেল না আসতে পারার কারণে মজুত ভান্ডারে টান পড়ায় পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে। লকডাউন উঠে গেলে আবার জ্বালানির দাম কমে যাবে। এর আগে যখন জ্বালানির দাম এর চেয়েও দ্বিগুণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল তখন কেউ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাননি। এখন এই জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ইস্যু নিয়ে খামোখাই বিতর্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে।”
এদিন তিনি আরও বলেন যে, “আমপানের দাপটে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ১০ শতাংশ জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকি ৯০ শতাংশ জমি ভালো আছে। তাহলে শাক-সবজির দাম এত বাড়ছে কেন? এর জবাব দিতে পারছেন না কেউ”।
আরও পড়ুনঃ ফের জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
অন্যদিক, এদিন হুগলিতে এসেছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পল। ঘূর্ণিঝড় আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা না দেওয়ার ঘটনায় সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। বলেন, “রাজ্যে যে সরকার আছে। সেটা লুটের সরকার। আসল ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা পাচ্ছে না। সবটাই আত্মসাৎ করছে রাজ্য।”
উল্লেখ্য, আমপানে ক্ষতিপূরণ দুর্নীতির অভিযোগে ছ’জনকে শোকজ করেছে তৃণমূল। গত শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে হুগলি তৃনমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব স্পষ্ট জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের কোথাও প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট ব্লক উন্নয়ন দপ্তরে আবেদন করতে পারেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584