নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
চিনের একতরফা আগ্রাসন, লাদাখে এই উল্লেখ রয়েছে, এমন একটি মাসিক প্রতিবেদন সরিয়ে নেওয়া হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় কিছুদিন আগে।
এবার ২০১৭ সাল থেকে প্রকাশিত হওয়া সমস্ত মাসিক প্রতিবেদন যেখানে চীনের একতরফা আগ্রাসনের উল্লেখ রয়েছে সবই মুছে দেওয়া হলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ২০১৭ সালের ডোকলাম সঙ্কট সম্পর্কিত প্রতিবেদন, যেখানে ভারতীয় এবং চিনা সেনাদের অবস্থান উল্লেখ করা ছিল না। প্রতিরক্ষা বিভাগের মাসিক প্রতিবেদনগুলি সরানোর ঠিক কি কারণ, এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
তবে মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সরিয়ে নেওয়া প্রতিবেদনগুলি সম্ভবত অক্টোবরের মধ্যে আবার ওয়েবসাইটে ফিরবে। জানা গিয়েছে, ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীণ কাজ এবং তালিকা আপগ্রেড করার কাজ চলছে।
আরও পড়ুনঃ আজ একটি বড় অকারের গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিটি প্রতিবেদন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের থেকে সম্মতি পাওয়ার পরই জনসাধারণদের জন্য প্রকাশ করা হয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে যেমন কিছুই প্রকাশ করা হয়নি ওয়েবসাইটে। যেমন- বালাকোট হামলা, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, ডোকালামে সেনা মোতায়েন। এমনকি আগস্ট মাসে, জুন ২০২০ অব্দি সব প্রতিবেদন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সদ্য উদ্বোধিত অটল টানেলে দুর্ঘটনার বাড়বাড়ন্ত প্রশাসনের মাথা ব্যাথার কারন
তাতে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালের ৫ মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় এবং বিশেষত গালওয়ান উপত্যকায় চিনা আগ্রাসন বাড়ছে। ১৭-১৮ মে ২০২০তে কুগরাং নালা, গোগরা এবং প্যানগং হ্রদের উত্তর পাড় অতিক্রম করেছে চিনা বাহিনী।
গালওয়ান উপত্যকায় ১৫ জুনের সংঘর্ষের কথাও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কমান্ডাররা যে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন , তাও উল্লেখ ছিল। এপ্রিল ও মে মাসের যুগ্ম প্রতিবেদনে চিনা আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সঙ্কটের কোনও সুনির্দিষ্ট বিবরণ না থাকলেও একটি ইঙ্গিত ছিল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584