নিজস্ব সংবাদদাতা, হুগলীঃ
লক ডাউন পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের পুলিশ কর্মীর ভূমিকায় সন্তুষ্ট আমজনতা। তবু কিছু কিছু পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘কড়াকড়ি করুন, বাড়াবাড়ি নয়’। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশকে কার্যত উপেক্ষা করার নজির মিললো ব্যান্ডেলে। বাজার করতে গিয়ে বেধড়ক মার খেতে হল হুগলীর এক যুবককে।আক্রান্ত যুবক নলডাঙার বাসিন্দা ছোটন মজুমদার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় দুধ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ছোটন। নলডাঙ্গা খেলার মাঠের পাশেই তার বাড়ি। বাড়ি ঢোকার মুখে হঠাৎ ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শের আলীর নেতৃত্ত্বে তিনটি মোটর সাইকেলে ছয় পুলিশ কর্মী সেখানে হাজির হয় এবং মারধর করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ বাজারে পসরা সাজিয়ে বসলেও দেখা নেই ক্রেতার, হতাশায় ফুল বিক্রেতারা
শয্যাশায়ী ছোটনের অভিযোগ, অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে করতে মোটর সাইকেল থেকে নামেন শেরআলী। নেমেই তার উপর চড়াও হয়, লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করেন তিনি। লাঠির আঘাতে থেঁতলে দেওয়া হয় পায়ের দুই হাটু।
আরও পড়ুনঃ পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন জামাই, অভিযুক্তরা পলাতক
সারা গায়ে অসংখ্য ক্ষত, উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিল না। আঘাতে বাড়ির সামনেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে ছোটন।হাতে থাকা দুধের প্যাকেট দেখিয়ে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করে সে, ছোটনের কোনও কথাতেই কর্ণপাত করেননি আলী মন্ডল।
আওয়াজ পেয়ে বাড়ির লোকজন বেরিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়না। মানুষের ভিড় জমে যায়। বেগতিক বুঝে ছোটনকে মোটর সাইকেলে বসিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়েও ছোটনকে বেধড়ক মারধর করেন ব্যান্ডেল ফাঁড়ির ইনচার্জ শের আলী মন্ডল। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ফাঁড়িতে চড়াও হলে বাধ্য হয়ে রাতেই ছোটনকে ছেড়ে দেয়।
এর আগেও লকডাউনে ফাঁড়ির পাশের চায়ের দোকান খোলা রাখার অভিযোগ উঠেছিল আলী মন্ডলের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে রীতিমতো তোলাবাজির রাস্তায় নেমেছে ব্যান্ডেল ফাঁড়ি। হুগলীর ছোটনকে মারধরের অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি সকলের কাছে আরও স্পষ্ট হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584