গান্ধী নিয়ে বিকৃত মন্তব্যকারী সৌমিত্র আইআইএমসি-র অধ্যাপক

0
85

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

মহাত্মা গান্ধী কে ‘মহাত্মা পাকিস্তানের পিতা’ বলে বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত অনিল কুমার সৌমিত্রকে আইআইএমসিতে অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ।

Anil Kumar Saumitra | newsfront.co
অনিল কুমার সৌমিত্র

দেশের অন্যতম আগ্রগণ্য জনসংযোগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইএমসি-র অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করা অনিল কুমার সৌমিত্রকে। গত বছর মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মিডিয়া সেলের প্রধান অনিল কুমার সৌমিত্র তাঁর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মহাত্মা গান্ধীকে ‘পাকিস্তানের পিতা মহাত্মা গান্ধী’ বলে অভিহিত করেন, স্বাভাবিক ভাবেই হইচই পড়ে যায় সেই নিয়ে।

অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপিও, দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। কিন্তু, সেই বহিষ্কৃত অনিলকেই এবার দেশের অন্যতম শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইএমসি-র অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ করা হল।

আরও পড়ুনঃ মোদী সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন! নয়া জমি আইনে ক্ষুব্ধ কাশ্মীরি পন্ডিতরা

ফেসবুকে সৌমিত্র লিখেছিলেন, ‘উনি (মহাত্মা গান্ধী) দেশের পিতা, কিন্তু পাকিস্তানের। তাঁর মত কোটি কোটি সন্তান ভারতের রয়েছে। কিছু যোগ্য, কিছু অযোগ্য।“-এই পোস্টের প্রেক্ষিতেই বিতর্কের ঝড় ওঠে।

অবশেষে কিছুটা নিজেদের মুখ বাঁচাতেই ২০১৯ সালের মে মাসে বিজেপি দল থেকে বহিষ্কার করে ওই অধ্যাপককে। এই প্রসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের তরফে বলা হয়েছিল, অনিল সৌমিত্রর ফেসবুক পোস্ট দলের মূল ভাবনা, নীতির পরিপন্থী এবং দলের ভাবমূর্তিতে আঘাত করেছে।

আরও পড়ুনঃ ছাত্রী খুনে অভিযুক্তর প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি রামদেবের

এটিই প্রথম ঘটনা নয়, ২০১৩ সালেও বিজেপি বিরোধী পোস্ট করায় অনিল কুমার সৌমিত্রকে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে দলের মুখপত্র ‘চরৈবেতি’তে অনিল ‘চার্চের নরকে নানের জীবন’ নামে একটি কলাম লিখেছিলেন। বিষয় ছিল ক্যাথলিক চার্চে কিভাবে নানেদের যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়। যা দল ভালভাবে নেয়নি। চরৈবেতির সম্পাদক পদ থেকেও সরানো হয় অনিল সৌমিত্রকে।

এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন তিনি, ‘অপরাধীর মত ব্যবহার করা হল’ বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অধ্যাপক। চিঠি দিয়ে নিজের ক্ষোভের কথা আরএসএস প্রধান মোহন ভগবৎ, সুরেশ যোশী, সুরেশ সোনি, লালকৃষ্ণ আডবানি, রাজনাথ সিংকে জানিয়েছিলেন।

সেই বিতর্কিত অনিল সৌমিত্রকে গত ২৬ অক্টোবর কেন্দ্র পরিচালিত আইআইএমসি-র অধ্যাপক পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন দানা বাঁধছে। সংবাদমাধ্যমের তরফে অনিল সৌমিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও মেলেনি তাঁর প্রতিক্রিয়া। এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি আইআইএমসি-র ডিরেক্টার জেনারেল সঞ্জয় দ্বিবেদীও।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here