সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
একটা সময় বোমা ও গুলির শব্দে ঘুম ভাঙতো এলাকাবাসির।শিক্ষা বলতে গ্রামে ছিলনা কিছুই।সন্ধ্যা নামলে আতঙ্কিত হয়ে পড়তেন গ্রামবাসিরা। রাজ্যর পালাবদলের পর কিছুটা হলেও উন্নয়নের মুখ দেখেছে গ্রামগুলি।এবার শিক্ষার মান বাড়াতে অভিনব প্রয়াস বন্ধন শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে।
শিক্ষার মানের সঙ্গে খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে ক্ষুদে পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু করলো বাৎসরিক প্রতিযোগিতা।মগরাহাট ১নম্বর ব্লকে শেরপুর পূর্ব কাজলা পাড়ায় বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশ গ্রহন করলো শেরপুর শাখার বন্ধন শিক্ষা কর্মসূচি।একদিন ব্যাপী নার্সারি থেকে তৃতীয় শ্রেনী পর্যন্ত পড়ুয়াদের নিয়ে চলে এই খেলা।শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪টি গ্রামের ২৫ টি স্কুলের ১৫০জন পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
আরও পড়ুনঃ বন্ধনের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন
স্কুলে হিট খেলার পর প্রতিটি স্কুলে ৬ জন করে পড়ুয়াদের নিয়ে বাৎসরিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়।নিউ কাজলা সারদাময়ি যুবক সংঘের মাঠে খেলা দেখতে ভীড় জমান গ্রামের অগনিত মানুষ।মাধবপুর,শেরপুর,আমড়াতলা,শিরাকল থেকে আসা ক্ষুদে প্রতিযোগিরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।একশ মিটার দৌড় থেকে আলুদৌড় ,গুলি চামচ থেকে বিস্কুট দৌড় ,লাফান দড়ির মতো ১৪ টা খেলা প্রতিযোগিতা করানো হয়।শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বেশির ভাগ জায়গা অনুন্নত।উন্নয়নের বিকাশ ঘটাতে বধ্য পরিকর রাজ্য সরকার।
এবার গ্রামে শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে হাল ধরলেন বন্ধন।বন্ধন শিক্ষা কর্মসূচি নাম দিয়ে গ্রামে গ্রামে চলছে বিনিপয়সায় প্রশিক্ষন।গ্রামবাসীদের এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্য সফল করছেন বন্ধন কর্মকর্তারা।এদিন উপস্থিত ছিলেন বন্ধন এডুকেশান পোগ্রাম অফিসার বিশ্বজিৎ দাস। শেরপুরের এডুকেশান টিম লিডার বিপ্লব মুখার্জী,রমেশ সরকার,ছিলেন শিক্ষা সংগঠকরা।
ছিলেন বন্ধনের লক্ষ্মীকান্তপুর জোনের জোনাল অফিসার ইমানুল গাজি।বন্ধনের উদ্যোগে এই শিক্ষা কর্মসূচির শিক্ষার আঙিনায় নিয়ে গিয়ে গ্রামবাসীর কতটা গুলি-বোমার দুঃস্বপ্নের দিন ভোলাতে পারেন,এখন সেটাই দেখার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584