শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ

যে কোন মৃত্যুই যেন বেদনাদায়ক।তবে চাকরি করতে গিয়ে অল্প বয়সে জঙ্গি হানায় মৃত্যুর ঘটনা আরও বেদনাদায়ক।কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় ৪২ জন শহীদ হয়েছেন।নৃশংস জঙ্গি হানায় নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।
তাই পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার কেতুগ্রামের শহীদের মা এখনো চোখের জল ফেলে ছেলের স্মৃতিচারণ করেন মাঝে মধ্যেই।ছেলের মৃত্যুতে আজও অস্থির হয়ে ওঠেন মা শ্যামলী ঘোষ ও বাবা সাগর ঘোষ।ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৯ সালের ১৬ই এপ্রিল নির্বাচনের সময়।ছত্রিশগড়ের দান্তে আওড়াতে সিআরপিএফ বাহিনীতে কর্মরত কেতুগ্রামের যুবক লাল্টু ঘোষ শহীদ হয়েছিলেন। মাওবাদীদের পেতে রাখা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৮৩ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন।সেই ক্ষত আজও শুকায়নি কেতুগ্রামের লাল্টু ঘোষ এর মায়ের চোখ থেকে।
ফের মনে করিয়ে দিল জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গি হানার ঘটনা।টেলিভিশনের পর্দায় নৃশংস হত্যালীলার ছবি দেখে অশ্রু ভেজা চোখে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানালেন আরেক শহীদের মা কেতুগ্রামের শ্যামলী ঘোষ।
শ্যামলীদেবী আজও ছেলের ছবি বুকে নিয়ে চোখের জল ফেলে যান ছেলে হারানোর যন্ত্রণা কতটা তিনি হাড়ে হাড়ে টের পান,এমনটাই প্রতিবেশীদের কাছে জানান মাঝেমধ্যেই।
আরও পড়ুনঃ সিআরপিএফ কনভয়ে কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসবাদী হানার প্রতিবাদে সরব রাজ্য
শনিবার কেতুগ্রামের আরেক শহীদের মা শ্যামলী ঘোষ জানিয়ে দেন যে,”মাওবাদীদের বিস্ফোরণে যেভাবে আমার ছেলের দেহ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছিল আজও যেন ভুলতে পারিনা ছেলের কফিনবন্দি মৃতদেহ যখন গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায় তখন আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি, আমার ছেলের যন্ত্রণার কথা আজও ভুলতে পারিনি।তাই আমি দাবি করি নিরপেক্ষভাবে জঙ্গিদের শাস্তি হোক জঙ্গিদের নিকেশ করে দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করলেই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।”তাই জঙ্গিদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন কেতুগ্রামের আরেক শহীদের মা শ্যামলী ঘোষ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584