নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দেপাল অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস, মুসলিম কমিটি ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে এনআরসি ও সিএএ-র বিরুদ্ধে দেপাল হাট থেকে প্রতিবাদী পথসভা ও জনসভা হয় বৃহস্পতিবার।
এই পথসভায় নেতৃত্ব দেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কো-মেন্টর জনাব হাবিবুর রহমান ও এলাকার বিধায়ক অখিল গিরি। এই অঞ্চলের মুসলিম কমিটির সভাপতি দিলবার আলি সাহার নেতৃত্বে বহু মুসলিম সংগঠন এই পথসভায় এনআরসি ও সিএএ-র বিরুদ্ধে হাঁটেন ও প্রতিবাদ করেন।
উপস্থিত ছিলেন তাহেদ খান, দইআন আলি সাহা, মেকাইল আলি সাহা, মানিকা বসান এবং মুসলিম কমিটির পক্ষ থেকে সেক সোহেজাদ। দেপাল অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌরাঙ্গ মাইতির নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক এনআরসি ও সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিরোধিতা করেন।
এ দিন উপস্থিত ছিলেন এই অঞ্চলের প্রধান অনুপ কুমার মাইতি, উপপ্রধান তাপস কান্তি দত্ত, সদস্য রঞ্জন পাত্র, এই অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি চন্দন নন্দ ও অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।
দেপাল অঞ্চলের যুব কমিটি এই প্রতিবাদ সভায় যোগদান করেন যুব সভাপতি মানস গুচ্ছাইতের নেতৃত্বে। সঙ্গে ছিলেন শেখ মইদুল, শেখ হোসেন, শেখ আলফাজ উদ্দিন ও অন্যান্য নেতৃত্ব বৃন্দ।
আরও পড়ুনঃ দিল্লির রাজপথে প্রতিবাদে মুখর ঐশীরা, সঙ্গে সীতারাম-শরদ
এই পথসভায় কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক পা মেলায়। এ দিন দেপাল হাটের উপর পথসভা শেষে বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহের কুশপুতুল পোড়ানো হয়।
দেপাল, মানিকা বসান ও বিভিন্ন দিক থেকে আসা মুসলিম কমিটির পক্ষ থেকে যারা এসেছিলেন এনআরসি ও সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন।
হাবিবুর রহমান এ দিন কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার সূত্র ধরে বলেন, আমরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান; হিন্দু তার নয়নমণি, মুসলিম তার প্রাণ।
আরও পড়ুনঃ দিঘা যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু চার তৃণমূল কর্মীর
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই সব ধর্ম নির্বিশেষে এই ভারতবর্ষে ছিলাম, আছি। বিজেপির মতন নির্লজ্জ দল ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে আমাদের মধ্যে যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে তা একদমই মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা প্রতিবাদ করছি ও এই বাংলায় কোনওভাবেই আমরা এনআরসি হতে দেব না।
অন্যদিকে অখিল গিরি বলেন, এই অঞ্চলের হিন্দু ও মুসলিম একে অপরের উপর নির্ভরশীল ও দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ। এই বন্ধনকে কোনওভাবেই আমরা ভাঙতে দেব না।
আরও পড়ুনঃ দাঁত দিয়ে নারকেল ছুলে বিখ্যাত বিশ্বজিৎ বর্মণ
মুসলিম কমিটির পক্ষ থেকে দিলবার আলি সাহা বলেন এই অঞ্চলে সর্বদাই যে কোনও উন্নয়নের কাজে হিন্দু-মুসলিম সহযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমরা যে ভারতীয় তা আমাদের বিজেপির কাছে বোঝানোর দরকার নেই। ওরা একটা কথাই বোঝে, তা হল সাম্প্রদায়িকতা। কাল রামনগর বিধানসভার অন্তর্গত ঠিকরায় বিজেপির জেলার সভাপতি অমিত চক্রবর্তী নেতৃত্বে যে ঘটনা ঘটল, তার তীব্র প্রতিবাদ করছি আমরা।
সাধারণ মানুষ এই প্রতিবাদ সভায় এনআরসি-র বিরুদ্ধে বিরোধিতা করেন এবং বলেন বাংলায় যে সাম্প্রদায়িকতার বাতাবরণ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তার জন্য একদিন পস্তাতে হবে। আমরা দিদির সাথে আছি, আর থাকব।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584