পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির বৈঠক থেকে কর্মীদেরকে একাধিক নির্দেশ দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
আগামী বিধানসভাকে পাখির চোখ করে কিভাবে দলীয় কর্মীরা তৃণমূল স্তরে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে তার পথনির্দেশিকা তৈরি করে দিলেন তিনি। বৈঠক শেষে তিনি জানান উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে যেভাবে পুলিশ এনকাউন্টারে খতম করেছে তাতে অনেক প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, বিকাশ দুবে কে না মারলে বিজেপির অনেক বড় বড় নেতার গোপন রহস্য মানুষের সামনে চলে আসত। সেই ভয় থেকেই যোগী সরকার বিকাশ দুবেকে গুলি করে মেরে ফেলতে বাধ্য হল। অনুব্রত মণ্ডল অভিযোগ করেন ১৯৯০ সালে বিজেপি সরকারে থাকার সময় এক মন্ত্রীকে থানার ভেতরে ঢুকে এই বিকাশ দুবে নিজে হাতে খুন করেছিল।
তখনই যদি বিজেপি এর বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিত তাহলে আজ আট জন পুলিশ কর্মী খুন হত না এবং বিকাশ দুবে এত বড় গ্যাংস্টার হত না। বিজেপি নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে এইরকম গ্যাংস্টার তৈরি করে এবং কাজ ফুরিয়ে গেলে পুলিশকে দিয়ে এনকাউন্টারে মেরে ফেলে।
আরও পড়ুনঃ ‘বাংলার লজ্জা মমতা’-কে হারিয়ে ট্রেন্ডি়ংয়ে এগিয়ে ‘বাংলার গর্ব মমতা’
কেন্দ্রীয় সরকার একটি আইন এনেছে যেখানে কো-অপারেটিভ ব্যাংক গুলোকে অধিগ্রহণ করা হবে বলে বলা হয়েছে। সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, যা খুশি তাই করছে প্রধানমন্ত্রী। দেশকে বিক্রি করে শেষ করে দিচ্ছে, দেশের সম্পত্তি আর কিছু বাকি রাখছে না।
এরই প্রতিবাদে আজকে বীরভূম জেলা জুড়ে অবস্থান-বিক্ষোভ হয়েছে। এই বিক্ষোভ অবস্থানগুলোতে সাধারণ মানুষ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। কারণ মানুষ বুঝতে পেড়েছে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতা তুলে দিয়ে কত বড় ভুল করেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584