সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
কুলটিতে অবৈধ ভরাটের কাজ শুরু করল ইসিএল কর্তৃপক্ষ। গত ১৩ অক্টোবর বিকেলে আলডিহির একটি খাদানে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন আকানবাগান গ্রামের তিন যুবক। ১৭ অক্টোবর রাতে ওই খাদানের পাশে একটি বড় গর্ত খুঁড়ে তিন জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। এর পরেই আকানবাগান গ্রামের বাসিন্দারা আলডিহিতে ছড়িয়ে থাকা অবৈধ খাদানগুলি ভরাটের দাবি জানাতে থাকে।
অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) অরিন্দম রায় দুর্ঘটনার পরেরদিন সকালে যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা ভরাটের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আশ্বাসে বাসিন্দারা খুশি হননি। ভবিষ্যতে গ্রামের আর কেউ এভাবে খাদানে ঢুকে প্রাণ দিক তা চাইছে না গ্রামের বাসিন্দারা। অবৈধ খাদানগুলি বন্ধের দাবি জোরদার হয়ে উঠলে ইসিএল কর্তৃপক্ষ সেগুলি ভরাট করার কাজ শুরু করেছে সোমবার থেকে।
সংস্থার সিএমডি প্রেমসাগর মিশ্র বলেন, কয়লা গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ তার অপব্যবহার রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান ‘খনন প্রহরী’ অ্যাপের মাধ্যমে ইসিএলের সাঁকতোড়িয়া সদর কার্যালয়ে কোথায় অবৈধ খাদান চলছে তা জানাতে পারবেন বাসিন্দারা। তার সূত্র ধরেই ব্যবস্থা নেবে সংস্থা। যিনি খবর দিচ্ছেন তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
আরও পড়ুনঃ বর্ধমানে পুরোনো ওভারব্রিজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত রেল কর্তৃপক্ষের
গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে এই অ্যাপ। খনি মানচিত্রে কোথায় রয়েছে তাও চিহ্নিত করে দেওয়া যাবে। অভিযোগ করার পরে সে নিয়ে কি উদ্যোগ নেওয়া হলো তাও অ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারবেন অভিযোগকারী। গতবছর অ্যাপটি চালু করা হয়েছে এবং তার মাধ্যমে বেশ কিছু অভিযান চালিয়ে অবৈধ খাদান বন্ধও হয়েছে। কিন্তু সেইভাবে একটি জনসমক্ষে প্রচার না হওয়ায় অনেকেই বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত নন। মানুষকে সচেতন করতে, অবৈধ খাদান ভরাট করতে এই অ্যাপটি ইসিএল কর্তৃপক্ষকে যথাযথ সাহায্য করবে বলে মনে করছে বাসিন্দারা।
ডাউনলোড লিঙ্কঃ https://play.google.com/store/apps/details?id=com.coal.coalminesurveillance
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584