শ্যামল রায় বর্ধমান:
আসন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসন স্বচ্ছ ধারণা দিতে কি মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা সানাউল্লা শেখ খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূল নেতা বিকাশ চৌধুরীর গ্রেপ্তারের পর এবার তাহলে কি মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ভাই রহমত উল্লাহ চৌধুরী গ্রেফতারের পথে?
এলাকায় এখন এই শব্দটি ঘুরে বেড়াচ্ছে আনাচে কানাচে।
অনেকেই বলছেন মঙ্গলকোটে গোষ্ঠী কোন্দল যেমন প্রভাব বিস্তার করেছে সেই দলীয় কোন্দল মেটাতে যদি এই ধরনের পদক্ষেপ পুলিশ প্রশাসন গ্রহণ করে তাহলে স্বচ্ছ বার্তা যাবে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের কাছে। একদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী বনাম অন্যদিকে রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী তথা বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। দুই মেরুর দুই ব্যক্তিত্বকে নিয়ে মঙ্গলঘটে রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে যে গত বছর 19 জুন শিমুলিয়া 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তৃণমূল নেতা সানাউল্লাহ শেখ ওরফে ডালিম খুন হন। অভিযোগ ওঠে যে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে ভাড়াটে খুনিদের ব্যবহার করে ঐ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ডালিম শেখ কে খুন করা হয়েছে। ডালিম শেখের দাদা আশরাফুল শেখ 16 জনের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করে মঙ্গলকোট থানায়। এরমধ্যে রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ভাই রহমতউল্লাহ চৌধুরীর নামে অভিযোগ দায়ের করেন ডালিম শেখের পরিবারেরা। ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে আরেক ব্যক্তির নাম উঠিয়াছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য তথা একদা সময়ের দাপুটে নেতা বিকাশ চৌধুরীর নামও খুনের অভিযোগ হয় ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584