সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার বাঁশকোপা টোলপ্লাজায় কাছে গাড়িটিকে দেখে সন্দেহ হয়েছিল টহলদার ভ্যানের পুলিশকর্মীদের। গাড়ি আটকে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে এল সোনালী বাঁট এবং কয়েকটি পাত। অথচ যে গাড়িটি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়েছিল সেই গাড়িতে সাঁটানো রয়েছে ‘পুলিশ’ স্টিকার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাড়ি থেকে উদ্ধার প্রায় দেড় কিলো গ্রাম ওজনের ওই সোনালী বাঁট এবং পাতগুলি পরীক্ষা করে দেখা যায় সেগুলি আসলে পিতলের। সোনা হিসেবে সেগুলি ধানবাদে বিক্রি করতে যাচ্ছিল বলে পুলিশি জেরায় জানিয়েছে ধৃতরা।
সোনা পাচার করতে কলকাতার দিক থেকে
২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে একটি গাড়ি আসছে এমন খবর ছিল পুলিশের কাছে। সেজন্য বাড়তি নজরদারিও চলছিল। গাড়িটি ধরা পড়তেই যে বাঁট ও পাতগুলি পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় বারোশো গ্রামের সোনালী বাঁট রয়েছে এবং মোট ৩০০ গ্রামের ওজন পাতগুলির। ধানবাদে এক ব্যক্তির কাছে সেগুলি বিক্রি করতে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে তারা।
পুলিশ স্টিকার সাঁটা গাড়ি আদতে নকল সোনা পাচার চক্রের গাড়ি। কিন্তু কিভাবে এই নকল সোনা পাচার করা হয়?
পুলিশের দাবি ধৃতরা জানিয়েছেন, প্রথমে তারা কোন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ জমায়। সোনার বিষয়ে নানা কথা বলে তাকে উৎসাহিত করা হয়। অন্য দেশ থেকে সোনা পাচার করে আনা হয়েছে এমন কথা জানানো হয়। পরে বাজার থেকে অনেক কম দরে বিক্রি দেওয়া হয় ব্যবসায়ীদের কাছে।
ব্যবসায়ীরা রাজি হলে নির্জন জায়গায় তাকে ডাকা হয়। প্রথমে একটি গাড়ি সোনা দিয়ে টাকা নেয় তার কাছে, তারপরেই পিছন থেকে পুলিশ স্টিকার সাঁটানো গাড়িটি হাজির হয়। পাচারের অভিযোগে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সোনা উদ্ধার করে নিয়ে পালায়। এভাবে দীর্ঘদিন কারবার চালিয়েছে তারা।
আরও পড়ুনঃ চাকা খুলে উল্টে গেল গাড়ি, উধাও মাছ
তদন্তকারীদের দাবি, নকল সোনা পাচারচক্র সারা রাজ্য জুড়ে সক্রিয়। ধৃতরা হুগলির শেওড়াফুলি, শ্রীরামপুর, বসিরহাট এবং পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর বাসিন্দা বলে জানা গেছে। দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে চোদ্দ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584