নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
এবার হাউস ফর অল প্রকল্পের টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে সোজা কোন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ট্রান্সফারের অভিযোগ উঠল মেদিনীপুরের ২৩ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন উপপুরপ্রধান ও কাউন্সিলার জিতেন্দ্রনাথ দাস ও ঠিকাদার সেক মমতাজ উদ্দিনের বিরূদ্ধে।অন্তত গ্রাহকের পাসবই থেকে উঠে এল এমনই তথ্য।
২৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর সেক রাজার বাড়ি তৈরীর জন্য তার পুরোনো বাড়ি ভেঙে ফেলার কথা বলেন অভিযুক্ত কাউন্সিলার জিতেন্দ্রনাথ দাস।সেইমত ঐ গ্রাহক নিজের বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলে।২০১৬ সালের জুন মাসে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ১০ হাজার টাকা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে ঐ গ্রাহক।
তবে অ্যাকাউন্ট খোলার পর অবশ্য পাশবই ও গ্রাহকের সই করা ব্ল্যাঙ্ক চেক নিয়ে নেয় কাউন্সিলার।এরপর ১৯ শে মে ২০১৭ সালে প্রথম কিস্তির ১৩৭০০০ টাকা ঢুকলেও ২৪ শে মে ২০১৭ সালেই সেই টাকা ট্রান্সফার হয় কোন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাংকে।
এমনটাই অভিযোগ ঐ গ্রাহক সেক রাজার। এমনকি গ্রাহকের জমা দেওয়া ১০ হাজার টাকাও চেকের মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এরপর তিন বছর কেটে গেলেও আজও ভাঙা বাড়িতেই ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে বসবাস করছেন সেক রাজার পরিবার। বর্তমানে ক্ষুব্ধ ঐ পরিবার চায় তার বাড়ি তৈরী করে দেওয়া হোক।নাহলে ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও ঠিকাদারের বিরূদ্ধে আইনি পথে যাবেন ঐ পরিবার।
আরও পড়ুনঃ কাটমানির টাকা জনগণকে ফেরালো তৃণমূল নেতা
খবরের জেরে কাটমানির ২৫০০০ টাকা ফেরৎ দিলেন ২৩ নং ওয়ার্ড এর প্রাক্তন কাউন্সিলার জিতেন্দ্রনাথ দাস। গতকাল রাতে ২৩ নং ওয়ার্ডের ভারতী রানার হাতে ২৫ হাজার টাকা নগদ ফেরৎ দিয়ে আসে জিতেন্দ্রনাথ দাসের দুই অনুগামী সমর ও গোপাল নামের দুই ব্যক্তি।
এমনটাই জানালেন, ভারতী রানা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ঐ মহিলার পাসবই ফেরৎ দেয়নি বলে অভিযোগ। তবে ভারতী রানা জানান, “দু’বছর ধরে আমার টাকা নিয়ে রেখেছিল। দু’বছর ব্যাংকে টাকা রাখলে কিছু টাকা সুদ পেতাম আমি।এখন আমাকে বলা হচ্ছে তোমার বাড়ি তৈরী হবে না।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584