বিশ্বজিৎ সরকার,দার্জিলিংঃ
শিলিগুড়ির মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের নয়ারহাটের ধুমগড়ে গত চার বছর ধরে প্রেমের বন্ধনে জড়িয়ে পড়ে বেগম খাতুন ও তার প্রেমিক সাইদর আলি। এরপর হঠাৎ একদিন বেগম খাতুন অন্তঃসত্ত্বা রয়েছে এই কথা মুহুর্তের মধ্যে মেয়ের বাড়ির লোকজন জানতে পারে। এরপর বেগম খাতুনের পরিবারের লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সম্পূর্ণ ঘটনাটি খুলে বলে তার বাবা ও মা কে। এরপরেই বেগম খাতুনের বাবা পরক্ষণে ছেলের বাড়ি লোকজনকে জানান।পাড়ার কয়েকজন মুরুব্বি ও পঞ্চায়েত প্রধান দেরকে নিয়ে সালিশি সভা বসানো হয়। সেই সভায় বলাহয় যে কয়েক দিনের মধ্যেই তাদের বিবাহ করিয়ে দেওয়া হবে তার পাশপাশি ছেলের বাড়ি তরফ থেকে মেয়ের বাড়ির কিছু পণের দাবিও আনা হয় সমস্ত।
এই সব কথা মাথায় রেখে মেয়ের বাড়ির লোক ছেলের বাড়ির আড়াই লক্ষ টাকা পণ হিসেবে দিতে রাজি হয়। কিন্তু সমস্ত কিছু মেনে নেওয়ার পরও ছেলের বাড়ি থেকে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য অজুহাত দেখাতে থাকে। এই ভাবেই চার মাস কেটে যাওয়ার পরেও কোন সুরাহা মেলেনি। এরপর বেগম খাতুন সোমবার তার প্রেমিকের বাড়িতে যায়। সেই সময় বেগম খাতুনকে মারধর করে বের করে দেয় ছেলের পরিবারের লোকেরা।
অপরদিকে এই কথা শোনার পর মেয়ের মামারা যখন ছেলের বাড়িতে যায় ঠিক তাদেরও একই ভাবে মারধর করা হয়।এই ঘটনায় আহত হয় বেগম খাতুনের তিন মামা তাদের তড়িঘড়ি ফাঁসিদেওয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এরপরেই বেগম খাতুনের পরিবারের তরফ থেকে ফাঁসিদেওয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। যদিও গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ আক্রান্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি, পাল্টা বাইক ভাঙচুর
এই বিষয়ে বেগম খাতুনের পরিবারের আরও অভিযোগ যে তাদের মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।ছেলের বাড়ির থেকে তাকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করানো হয়। কিন্তু গর্ভপাত করানোর পরেও বেগম খাতুনকে ছেলে বাড়ির লোকেরা নিতে না চায়। তাহলে মেয়ে কোথায় যাবে।
এই বিষয়ে বেগম খাতুনের বক্তব্য যে,ছেলে যদি বিয়ে না করে তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584