পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুরঃ
২০১৮ সালের করনদিঘি থানার নাবালিকাকে ধর্ষনের চেষ্টায় এক শিশু সহ দুইজনকে খুনের অভিযোগে শুক্রবার অভিযুক্তের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষনা করলো ইসলামপুরের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট। ইসলামপুর আদালতের সরকারী কৌশলী মুক্তার আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর করনদিঘি থানার গরদনকাটি এলাকার বাসিন্দা ওবেদুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে তদন্তকারী অফিসার এসআই অরুন নন্দ অভিযুক্ত আলি শাহকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।
সে সময় থেকে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর হয়নি। সব পক্ষের ১৯ জন সাক্ষ্যের সাক্ষ্য গ্রহণের পর এদিন অভিযুক্ত আলি শাহের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪৮ ধারায় ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাস জেল, ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর জেল এবং ৩০৭ ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছেন ইসলামপুরের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক অরূপ রায়।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত আলি শাহ ওবেদুর রহমানের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করাতে আলি শাহকে হাতে নাতে ধরে ফেলে নাবালিকার দাদু তাজেবুল হক। ঘটনার খবর পেয়ে ১০ মাসের সন্তান পারভেজ আলমকে কোলে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তাজেবুল হকের স্ত্রী সুন্দরী বিবি। সে সময় নাবালিকা চিৎকার করতে থাকায় ধারালো চাকু দিয়ে আলি শাহ নাবালিকাকে গলায় জখম করে। এছাড়াও ওই চাকু দিয়েই ভুঁড়ি বের করে দেয় তাজেবুল হকের। পাশাপাশি সুন্দরী বিবিকে উদ্দেশ্য করে চাকু মারলে সেই আঘাত লেগে ১০ মাসের সন্তান পারভেজ আলমের ভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। সুন্দরী বিবিও জখম হয়েছিলেন। ঘটনার জেরে চারজনকেই করনদিঘি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানে তাজেবুল হকের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১০ মাসের সন্তান পারভেজ আলমকে রায়গঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হলেও ঘটনার দুদিন পরে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগকারী ওবেদুর রহমান বলেন, আদালতের রায়ে আমরা খুশি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584