সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
পুজোর মরসুম এলে এঁদের দেখা মেলে বর্ধমানের বিভিন্ন অঞ্চলে।পুজোর সময় রকমারি সুদৃশ্য মণ্ডপ তৈরি হয়। মণ্ডপের কাঠামো তৈরির জন্য প্রয়োজন হয় বাঁশ। আর তাই নানা প্রান্ত থেকে বাঁশ ব্যবসায়ীরা এখানে আসেন।তা ছাড়া,বছরের অন্য সময়ের চেয়ে এই সময় লাভ হয় একটু বেশি।
শুধু আশেপাশের গ্রাম নয়,বাঁশ ব্যবসায়ী আসেন বীরভূম জেলা থেকেও।এমনই একজন বীরভূমের সানোয়ার হাসান।প্রায় পঁচিশ বছর এই ব্যবসার সাথে যুক্ত।তিনি বলেন, আগে গরুর গাড়িতে বাঁশ নিয়ে আসতাম। এখন মোটর ভ্যানে নিয়ে আসি।এই এলাকায় পুজোর মণ্ডপসজ্জার জন্য ভালো চাহিদা রয়েছে বাঁশের।ভোর তিনটের সময় তাঁরা গ্রামের বাড়ি থেকে মোটর ভ্যান নিয়ে বের হন।অজয় নদ পেরিয়ে ভাতকুন্ডা রাস্তা দিয়ে এসে সরাসরি মানকর বা বুদবুদে আসেন।সেখান থেকে বর্ধমান বা দুর্গাপুর। এক একটি ভ্যানে ৩০ থেকে ৪০টি বাঁশ থাকে। বাঁশ সংগ্রহের কাজ চলে গোটা বছরই। নিজের এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে তাঁরা বাঁশ সংগ্রহ করেন। পুজোর মরসুমে তাঁরা চলে আসেন বর্ধমান জেলায়।মানকরে আসা ইলামবাজারের ব্যবসায়ী শেখ হাফিজ বলেন, খুঁটি পুজোর সময় থেকেই আমরা মানকর বুদবুদে আসি। শুধু তাই নয় আমাদের অনেকেই দুর্গাপুর বা বর্ধমান শহরে যায়।
সারা বছর ব্যবসা চললেও বাঁশ ব্যবসায়ীদের দাবি,খুব বেশি লাভ হয় না এই ব্যবসায়।তাই তাঁরা পুজোর দিনগুলির জন্য মুখিয়ে থাকেন।কারণ বছরের এই সময়েই একটু বেশি লাভের মুখ দেখেন তাঁরা।শেখ হাফিজ বলেন, পুজোর মরসুমে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই দুই থেকে তিনবার করে আসতে হয় মানকর বুদবুদে।
আরও পড়ুনঃ মামার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে ভাগ্নে গারদে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584