সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
বাবা কৃষিঋণ করেছিলেন। সেই ঋণ তিনি শোধ করতে পারেননি। ব্যাংকে সুদের উপর সুদ জমা হচ্ছে। মেয়ের রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা একাউন্টে এসেছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা হাতে তুলে দিতে নারাজ।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আগে বাবার ঋণ শোধ করতে হবে। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের কালাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। সুবিচার চেয়ে বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছে সদ্য বিয়ে হওয়া তরুণী শিউলি মালিক।
আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ারে পরীক্ষার্থী সংখ্যায় এগিয়ে ছাত্রীরা
কাড়ালা গ্রামে অ্যাজবেসটার্স চালার দু‘কুটুরি ঘরে বসবাস করে বিপিএল তালিকাভুক্ত মালিক পরিবার। শিউলিদেবীর বাবা দিলীপবাবু বলেন, তিনি ২০১৩ সালে কাড়ালার একটি রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্ক থেকে ২০ হাজার টাকা কৃষি ঋণ নিয়েছিলেন।
এর কিছুদিন পরেই তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন এবং তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তাঁর বক্তব্য, দুর্ঘটনায় জখম হওয়ার পর তিনি সেভাবে আর কাজকর্ম করতে পারেননি। একশো দিনের কাজে যে ছয় হাজার টাকা তিনি পেয়েছেন সেটাও ব্যাংকে জমা রয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত সুদসহ ব্যাংকের পাওনা প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা।
এই পরিস্থিতিতে গত বছর ডিসেম্বর মাসে বিয়ে হয় শিউলিদেবীর। রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাওয়ার জন্য সরকারি নিয়মে আবেদন করেছিলেন তাঁর মেয়ে। সেই টাকা ব্যাংক একাউন্টে এসেছে। তারপরেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেই টাকা দিতে নারাজ হয়ে যায়।
প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যাংকে যোগাযোগের পরেই নড়েচড়ে বসে ব্যাংক। কর্তৃপক্ষের এখন বক্তব্য, রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা আটকানো হয়নি। শিউলি মালিকের বাবা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের লোন শোধ করছেন না। সেই টাকা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584