মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
মণ্ডপে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানার থাকায় প্রতিমা বিসর্জন আটকে দিল বিজেপি সমর্থকরা।রবিবার মেখলিগঞ্জের জামালদহে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।পরে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করে।স্থানীয় বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ,জামালদহের বিবাদী সঙ্ঘের এই পূজা দীর্ঘদিন থেকে চলছে।এবার প্রথম এখানে রাজনৈতিক রং লাগানো হল।একটা ক্লাবের বারোয়ারী পূজায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সহ জামালদহ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস লেখা ব্যানার পূজার কদিন ধরে মণ্ডপের মধ্যে টাঙিয়ে রাখা হয়।স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ করলেও তাঁদের কথা শোনা হয় নি। আর সেই কারনেই এলাকার বিজেপি সমর্থকরা এদিন প্রতিমা বিসর্জন আটকে রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছে।স্থানীয় বিজেপি নেতা সঞ্জীব বসাক বলেন, “তৃণমূল দলের টাকা দিয়ে পূজা করে ব্যানার পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ লাগিয়ে ব্যানার টাঙিয়ে রাখুক,আমাদের দেখার দরকার নেই। কিন্তু গ্রামের মানুষের চাঁদায় যে পূজা হচ্ছে সেখানে তৃণমূলের ব্যানার কেন?আমরা যারা অন্য দলের কর্মী সমর্থক ওই পূজার সাথে জড়িত রয়েছি।তাঁরা এটা মানবো কেন? তাই এদিন প্রতিবাদ করা হয়েছে।”
তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ঝর্ণা বর্মণ বলেন, “প্রত্যেক বছর পূজার সময় বস্ত্র বিতরণ করা হয়।এবারও করা হয়েছিল। আমাদের উপ প্রধান বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।এতে বিজেপির লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে গণ্ডগোল করার চেষ্টা করে।কিন্তু ক্লাবের ছেলেরা জানিয়ে দেয় ওঁরাও চাইলে বস্ত্র বিতরণের মত অনুষ্ঠান করতে পারে।কিন্তু সেটা না করে বিসর্জন আটকে দেয়।পুলিশকে জানালে তাঁরা এসে বিসর্জনের ব্যবস্থা করে দেয়।”
পূজা কমিটির সদস্য বাবলু সরকার বলেন, “ মণ্ডপে কারা তৃণমূলের ব্যানার পোস্টার লাগিয়েছে,তা আমরা জানি না।কিন্তু বিজেপির লোকজন এসে বাধা দিচ্ছেন যাতে বিসর্জন না হয়।তাই পুলিশি সহায়তা নেওয়া হয়েছে।”সব মিলিয়ে চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনে রাজ্যপাল
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584