প্রীতম সরকার, উত্তর দিনাজপুরঃ
করোনার কারনে বন্ধ এ কদিনের সব কটি পুজো। বাসন্তী পূজো থেকে শুরু করে পয়লা বৈশাখের লক্ষ্মী-গণেশ নিয়ে খাতা পুজো। বাংলার নতুন বছর থেকে শুরু করে একের পর এক চলতে থাকে পুজো। কিভাবে হবে তা নিয়ে জেরবার সাধারণ মানুষ। আর এই করোনার জেরেই বন্ধ হল বাসন্তী পুজো লাগোয়া, নানা পুজো।
ইতিমধ্যেই সংক্রমণ এড়াতে পূজো উদ্যোক্তারা প্রতিমা না নেওয়ায়, সমস্ত প্রতিমা শিল্পীর ঘরে আটকে থাকল। টাকা খরচ করে প্রতিমা তৈরী করে মৃৎশিল্পীরা। সেই প্রতিমা বিক্রি না হওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন শিল্পীরা।
আরও পড়ুনঃ আইনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে বাজার ঘাট
শিল্পীদের মতে, সরকার আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে তাদের বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়বে।সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বাসন্তী পূজো। পূজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকে উদ্যোক্তারা প্রতিমার জন্য মৃৎশিল্পীদের কাছে বায়না করে যান।
এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মৃৎশিল্পীরা তাদের অর্ডার অনুযায়ী, অনেক খাটনি করে প্রতিমা তৈরী করেছেন।
কিন্তু বাদ সাধল এই নোভেল করোনা। এই ভাইরাস প্রতিরোধে সভা,সমাবেশের পাশাপাশি ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমস্ত কিছু বন্ধ রাখার জন্য সরকার নির্দেশ জারি করেছে।
রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জের পটুয়াপাড়ার শিল্পীরা অসংখ্য প্রতিমার অর্ডার পেয়েছেন। অপরদিকে উদ্যোগতাদের অর্ডার অনুযায়ী প্রতিমা তৈরির কাজও শেষ। কিন্তু আচমকা উদ্যোক্তা পুজা বন্ধ রাখার কথা মৃৎশিল্পীদের জানিয়ে দেওয়ায় সমস্ত প্রতিমা, শিল্পীর ঘরেই বন্দী হয়ে পরে রইলো।
মৃৎশিল্পীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে চড়া হারে সুদ দিয়ে টাকা তুলে প্রতিমা তৈরী করেন। আর প্রতিমা বিক্রি না হওয়ায় ঋনের টাকা কিভাবে শোধ করবেন, তা তারা বুঝতে পারছেন না। তাই সরকারকে তাদের পাশে থাকার আবেদন করছেন শিল্পীরা। যদি সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দেয়, আগামীতে তাদের বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন শিল্পীরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584