সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
যখন দুর্ঘটনা ঘটে কিছুদিনের জন্য টনক নড়ে সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসন সবার। তারপর গতানুগতিক জীবনে সচেতনতা হারিয়ে যায়। দুর্গাপুর ব্যারেজের সেইরকমই পরিস্থিতি বলে মনে করছেন অনেকেই। কোথায় স্নান করা বিপজ্জনক তা বোঝাতে জায়গাগুলিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বোর্ড লাগানো হয়েছে, পিকনিকের মরশুমে মাইক নিয়ে প্রচার করা হয়। তা সত্ত্বেও সেই সব জায়গায় স্নান করার রেওয়াজ বন্ধ করা যাচ্ছে না। গত রবিবার স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান দুই তরুণ। সোমবার তাদের দেহ মেলে। তারপরেও মঙ্গল-বুধ-বৃহস্পতি কোন পরিবর্তন হয়নি স্নান করার ক্ষেত্রে। একই রকমভাবে স্নান করছেন অনেকেই।
স্থানীয়দের একাংশ মনে করছেন, লকগেটের নিচে কমবয়সীদের তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। কিন্তু তারপরেও পুলিশের নিয়মিত নজরদারি না থাকায় অনেকেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে স্নান করছেন সেখানে। স্থানীয়রা মনে করছেন, স্নান করার জন্য বিশেষ কোন জায়গায় ব্যারিকেড করে নির্দিষ্ট জায়গা করে দিলে বিপদের ঝুঁকি কমতে পারে। নিষেধাজ্ঞা জারি আছে, স্নান করার জন্য জায়গা এখনই নির্দিষ্ট করা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছে পুলিশ। নিয়ম অনুযায়ী ব্যারেজের কাছাকাছি যে কোন জায়গাতে নামা নিষিদ্ধ। সচেতনতার অভাব রয়েছে এ সম্পর্কে বলা হচ্ছে, টানা নজরদারি চালানোর মতো লোক বা পরিকাঠামো নেই। অথচ বিপদ থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতার পাঠ জরুরী।
দুর্গাপুরের কোকওভেন ও বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার তরফে অভিযান চালানো হয় মাঝে মাঝে। দুর্গাপুর পুরসভার ৪ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মহালয়া, মকর সংক্রান্তিতে স্নান করতে নামেন অনেক মানুষ। সেই দিনগুলিতে সচেতনতা কর্মসূচি নেওয়া হয়ে থাকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584