নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনাঃ
ভাম বিড়াল কামড়ানোর পর বিড়ালকে পিটিয়ে আধমরা করার অভিযোগ উঠল এক সবজি বিক্রেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত এলাকায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বারাসত হাসপাতাল সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা থানার চাকলার বদরহাট এলাকায় শনিবার রাতে হঠাৎ একটি ভাম বিড়াল ঢুকে পড়ে।
অভিযুক্ত সবজি বিক্রেতা রেজাউল ইসলাম সহ আরও কয়েকজন প্রথমে ভাম বিড়ালটিকে ধরার চেষ্টা করলে বিড়ালটি রেজাউলকে আঁচড়ে, কামড়ে দেয়। এরপর এলাকার লোক বিড়ালটিকে মারধর করে খাঁচায় ভরে। পরে রেজাউল চিকিৎসার জন্য ভাম বিড়ালটিকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভামটিকে ওই এলাকায় ছেড়ে দেওয়া অথবা বন দফতরের হাতে তুলে দেবার কথা জানায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথা তোয়াক্কা না করে খাঁচা সহ বিড়ালটিকে নিয়ে বাড়ি ফেরে রেজাউল। রবিবার রেজাউল ইসলাম জানান, “কোন প্রাণী কামড়েছে তা দেখাবার জন্যই ভামটিকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। রাতে বাড়ি নিয়ে যাবার পর অনেকে বিড়ালটিকে কেনার প্রস্তাব দেয়।
আরও পড়ুনঃ মদ বিক্রির প্রতিবাদ করায় যুবককে মারধর
আমি রাজি হইনি। ঠিক করি, সকালে বিড়ালটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেব। কিন্তু রাতেই খাঁচা ভেঙে বিড়ালটি পালিয়ে যায়।”
যদিও রেজাউলের এই বক্তব্যকে মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছে বারাসতের একদল পশুপ্রেমী। তাদের অভিযোগ, বিড়ালটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার সদিচ্ছে রেজাউলের থাকলে, বারাসত হাসপাতাল থেকে সেটিকে তিনি কেন বাড়ি নিয়ে গেলেন।
পশুপ্রেমীদের আরও অভিযোগ, রবিবার তারা সকালে বন দফতরকে গোটা বিষয়টি জানালেও বন দফতর বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দেয়নি।
আবার বনদফতরের এক অধিকারিককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “রবিবার অধিকাংশ কর্মীর ছুটি থাকে। তাছাড়া শনিবার রাতে কেউ বিষয়টি জানায়নি।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বনদফতরের আধিকারিকের বয়ান নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। সবজি বিক্রেতা রেজাউলের বক্তব্য কতটা ভরসা যোগ্য তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584