সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
ক্রমশই অবনতি হচ্ছে ভরতপুর গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা এমনই অভিযোগ ভরতপুর সহ আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য এই হাসপাতাল যখন শুরু হয়, তখন রোগীদের রাত্রি থাকার জন্য বেড, চব্বিশ ঘন্টা ডাক্তার, ডাক্তারদের থাকার জন্য আলাদা আবাসস্থল সব নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু এই পরিষেবা গুলি ক্রমশই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখন আর চব্বিশ ঘন্টা ডাক্তার থাকেন না। একজন অ্যালাপাথি ও একজন হোমিওপাথি ডাক্তার আসেন তিন দিন করে সপ্তাহে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভরতপুর, তিলডাঙা থেকে শুরু করে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। এরা সবাই বিপাকে পড়ছেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা আগের মতো না মেলায়। স্থানীয় বাসিন্দা অজয় ঘোষ বলেন, এক সময় এই কেন্দ্রতে প্রসূতিরা ভর্তি হতেন ও এখানে সিজার করানো হত। সে সব এখন বন্ধ। আগে জালাতঙ্ক রোগের টীকাকরণ হোত। আজ আর হয় না। বাসিন্দাদের অভিযোগ স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের সময় গ্রামের অনেকে জমি দান করেছিলেন কিন্তু এখন তারা আক্ষেপ করেন তাদের জমিও গেল আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও বেহাল। বাসিন্দাদের অভিযোগ চব্বিশ ঘন্টার হাসপাতালে যে ধরনের পরিকাঠামো থাকার দরকার তা আছে ভরতপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।
কিন্তু ব্যবহার না করায় নষ্ট হতে বসেছে সব কিছুই। রুগীদের থাকার যা ব্যবস্থা ছিল তা অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। ডাক্তারদের থাকার জন্য ঘরগুলিতে চলছে অসামাজিক কাজকর্ম। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সুষ্টু পরিবেশ ও সঠিক চিকিৎসা ভরতপুর সহ বিস্তীর্ণ গ্রামের মানুষগুলির এটিই দাবী। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিয়ে হাসপাতল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের বক্তব্য ভরতপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা উন্নত না হলে আন্দোলন করার কথা ভাবা হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584