নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
গত শনিবার চন্দ্রকোনা টাউন থানার জয়ন্তিপুরে বিজেপির পক্ষ থেকে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশে শুভেন্দু অধিকারী, ভারতী ঘোষ ও বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ক্ষীরপাই পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী কাউন্সিলর গৌতম ভট্টাচার্য তৃণমূল কংগ্রেস দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। ওইদিন শুভেন্দু অধিকারী চলে যাওয়ার পর গৌতম ভট্টাচার্যকে দলে নেওয়ায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
গৌতম ভট্টাচার্য কেন দলে নেওয়া হয়েছে তা জানতে চায় আদি বিজেপি কর্মীরা। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার রাতে চন্দ্রকোনা টাউন থানার ক্ষীরপাই এলাকায় থাকা বিজেপি দলের ক্ষীরপাই মন্ডল কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে পোস্টারিং করে দলের এক বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী। যারা আদি বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। যার ফলে রীতিমতো ক্ষীরপাই পুরসভা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ ক্ষোভ মিটিয়ে নিজের কেন্দ্রে পা রাখলেন শতাব্দী
ওই পোস্টারে লেখা রয়েছে ক্ষীরপাই মণ্ডল কমিটির সভাপতি সুশান্ত মণ্ডলের অপসারণ চাই। রাতের অন্ধকারে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের বিজেপি দলে নেওয়া হয়েছে কেন মন্ডল সভাপতি সুশান্ত মন্ডল ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য জবাব চাই জবাব দাও, আমাদের জবাব দিতে হবে, জবাব না দেওয়া পর্যন্ত দলীয় কার্যালয় বন্ধ থাকবে বলেও হুশিয়ারি দিয়ে লেখা রয়েছে। ওই পোস্টারের কথা ও দলীয় কার্যালয়ে চাবি তালা লাগানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির ক্ষীরপাই মণ্ডল কমিটির সভাপতি সুশান্ত মন্ডল।
আরও পড়ুনঃ আজ নন্দীগ্রামে মমতার সভা, তাকিয়ে সারা বাংলা
তিনি বলেন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি। তাদের নির্দেশ মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির আদি ও নব্য কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। আদি বিজেপির কর্মীরা দলে যোগ দেওয়া তৃণমূল নেতাদের দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। যার ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই চন্দ্রকোনা টাউন থানার ক্ষীরপাই এলাকায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584