নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম বর্ধমানঃ
বেশ কিছুদিন ধরেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার। তাই কোকওভেন থানায় মিসিং ডায়েরি করলেন তৃণমূল সমর্থকরা। আর তা নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকায় দেখা নেই বিজেপি সাংসদের। পরিস্থিতি দেখে বৃহস্পতিবার ডিটিপিএসের কর্মীদের গণ অবস্থান মঞ্চে যোগ দিয়ে ওই লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের মমতাজ সংঘমিত্রা চৌধুরী দলের কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, তাঁরা যেন থানায় গিয়ে সাংসদ নিখোঁজের বিষয়ে মিসিং ডায়েরি করেন। সেই কাজটিই এদিন সারলেন তৃণমূল কর্মীরা। থানাও মিসিং ডায়েরি নিয়েছে বলে খবর। সবমিলিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনঃ বলবিন্দরের স্ত্রীকে উপহার মুখ্যমন্ত্রীর, আজ ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা
তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একের পর এক কারখানা ধুঁকছে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এলাকার মানুষ অসহায় হয়ে পড়ছে। অথচ কোনও খোঁজই নেই সাংসদের। এলাকায় শেষ কবে তাঁর দেখা মিলেছে, কেউ বলতে পারছেন না। আমরা তাই বাধ্য হয়ে পুলিশকে তাঁর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কথা জানালাম।’
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিং সাংসদ রাজু বিস্তকে দেখানো হল কালো পতাকা
এদিকে, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া জানান, “যাঁরা অভিযোগ করেছে তাঁরা কোনও আলোচনার জন্যে আমাকে কোনওদিনই ফোন করেননি। আমাকে দৈনিক গড়ে দু’শো জন ফোন করেন। তাঁরা সুফলও পেয়েছেন।
আমি কাউন্সিলর নই যে আমাকে এলাকাতে থাকতেই হবে। সার্ভিস রোড মেরামতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে সমাধান করেছি।” এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই তোপ দেগেছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গোড়ায় ভেঙে পড়ে বর্ধমান রেল স্টেশন ভবনের সামনের একটি অংশ। সেই দুর্ঘটনায় একজন মারাও যান। তখন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ-সহ বর্ধমান শহরের প্রথমসারির তৃণমূল নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। সেইসময় পুলিশ-প্রশাসনও রেলকে সাহায্য করে। কিন্তু দেখা মেলেনি কেবল বিজেপি সাংসদের। বস্তুত ওই দুর্ঘটনার পর বর্ধমান শহরে আর দেখা যায়নি আলুওয়ালিয়াকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584