নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরঃ
বিজেপির বনধ সমর্থনকারীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।হেমতাবাদে বনধের সমর্থনে পিকেটিং করার সময় এক সিভিক ভলান্টিয়ার বিজেপি কর্মী চঞ্চল রায়কে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
আহত বিজেপি কর্মীকে চিকিৎসার জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।এর পরেই ঘটনার প্রতিবাদে রায়গঞ্জে বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হয়। সরকারি বাস আটকে পথ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ডিএসপি প্রসাদ প্রধান ও রায়গঞ্জ থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে অবরোধ তুলে দেয়।
বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকার সহ একাধিক বনধ সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ।বিজেপি কর্মী পরেশ রায়ের অভিযোগ করেন, বনধের সমর্থনে পিকেটিং করার সময় কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে চঞ্চল রায়কে। পায়ে ও কাঁধে গুরুতর আঘাত পান তিনি। চিকিৎসার জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভাতা না পাওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রাহকেরা
বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকার জানান, ‘রায়গঞ্জে একাধিক বনধ সমর্থনকারীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে পুলিশ।এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা পথ অবরোধে সামিল হয়েছি।’বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর অভিযোগ, অন্যায় ভাবে আমাদের এক কর্মীকে মারধর করেছে সিভিক পুলিশ।
অভিযুক্ত সিভিক পুলিশকে গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।এদিকে হেমতাবাদের বিধায়কের মৃত্যুর প্রতিবাদে রায়গঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সামনে সরকারি বাস আটকে পথ অবরোধে শামিল হয় বিজেপির নেতা কর্মীরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584