মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
লোকসভা ভোটের ফলে কোচবিহার জিতেছে বিজেপি। তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির সেই সংঘর্ষ মাঝেমধ্যেই চলছে। শুক্রবার দুপুরে তুফানগঞ্জ ব্লকের রামপুর ১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করার কথা ছিল তৃণমূলের। তার জেরেই তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা একে অপরের দিকে মারমুখী হয়ে ওঠে । সংঘর্ষের আকার ধারন করলে ঘটনাস্থলে তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনি ও র্যা ফ নামানো হয়। সংঘর্ষের মাঝে পুলিশ দাঁড়িয়ে পরলে দুই দলের কর্মীরা ইঁট পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। বিজেপি তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন না এলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে বলে জানা গেছে। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার ঘটনায় রীতিমতো সাধারন মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মী আহত হয় বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে বিজেপি নেতা উৎপল দাস বলেন, পঞ্চায়েত দখল করতে তৃণমূল এবং পুলিশ প্রশাসন মিলে এই গণ্ডগোল ঘটিয়েছে। এর সাথে বিজেপির কোন যোগ নেই। প্রশাসন নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না। এদিনের ঘটনায় আমাদের বিজেপি নেতাদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। যার জেরে আহত হয় আমাদের ৫ জন কর্মী। তাঁরা বর্তমানে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি। আজকের ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং পুলিশ যেভাবে নিরপেক্ষ কাজ করছে। যদি এই পরিস্থিতি দ্রুত বন্ধ না হয় তাহলে আমরা পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব।
আরও পড়ুনঃ চুরির এক সপ্তাহের মধ্যে পুলিশের জালে চোর
এদিনের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ধনঞ্জয় বর্মণ বলেন, প্রথমে বিজেপি কর্মীরা আমাদের তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ করে তারপর পুলিশ সেখানে গিয়ে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে এবং শূন্যে গুলি চালায়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়। আহতদের আলিপুরদুয়ার জেলা গঙ্গাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি যে ভাবে এলাকায় সন্ত্রাস শুরু করেছে তার নিষ্পত্তি হওয়া দরকার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584