প্রজ্ঞা ঠাকুরের মন্ত্রী হওয়ার পিছনে বিজেপির সিদ্ধান্ত আশির্বাদ না অভিশাপ

0
58

নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ

মোদি সরকারের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদের পরামর্শ কমিটির সদস্যের আসনে এক গুরুতর সন্ত্রাসী অপরাধে অভিযুক্ত হওয়া ভোপালের বিজেপি সাংসদকে বসানোর সিদ্ধান্ত– বিরোধী পক্ষের হতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার সমান।

blessing and curse of bjp to minister of pragya thakur | newsfront.co
সংবাদ চিত্র

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পর্যালোচক এবং জাতীয় সুরক্ষার পরামর্শক, সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুর জানান যে তিনি একজন ‘দেশপ্রেমিক’ হিসাবে, স্বাধীন ভারতের প্রথম সন্ত্রাসবাদী, মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের ভক্ত।

এমন সংসদ কীভাবে পার্লামেন্টে থাকতে পারে এবং বর্তমানে প্রতিরক্ষা পরামর্শক কমিটির চেয়ার দখল করতে পারে এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এবং সাধারণ মানুষের মনে স্বাভাবিভাবেই প্রশ্ন উঠছে। অনেকের মতে এই প্রশ্নের একটাই উত্তর, তা হল ‘নরেন্দ্র মোদি’।

আরও পড়ুনঃ নাটকীয় মোড়, এনসিপির হাত ধরে মহারাষ্ট্রে ফের ক্ষমতায় বিজেপি

নরেন্দ্র মোদিই লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রজ্ঞা ঠাকুরকে বিজেপির টিকিট দিয়েছিলেন এবং একথা জোর দিয়েই বলা যায় যে ঠাকুরের পক্ষে এই মর্যাদাপূর্ণ সংসদীয় কমিটির সদস্যপদ পাওয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্য অনুমোদন ছাড়া সম্ভব হতো না। কারণ, গত নির্বাচনের প্রচারের সময় মে মাসে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, গান্ধী ও গডসে সম্পর্কে এহেন মন্তব্যের জন্য তিনি কখনই ঠাকুরকে ক্ষমা করতে পারবেন না। যদিও তাঁর ধমকের স্বর স্পষ্টতই মৃদু ছিল।

তবে মোদি তাঁর দলীয় কর্মীদের সাম্প্রদায়িক, ভ্রষ্টবাদী, বর্ণবাদী এবং অবাঞ্ছিত বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য কখনও সমালোচনা না করার যে ট্র্যাক রেকর্ড অনুসরণ করছিলেন, তাতে এটা স্পষ্ট ছিল যে তিনি ঠাকুরের কুকীর্তি এবং যাবতীয় বিতর্কিত মন্তব্যকে তিনি পরবর্তীকালে অস্বীকারই করে থাকবেন এবং বর্তমান পরিস্থিতি সেটাই প্রমাণ করে।

ধারণা করা যায়, নির্বাচনী প্রচার এবং প্রচারের স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তার সাথে মোদি সক্রিয়ভাবে নতুন অবতারে ঠাকুরকে এই সম্মান দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ বৃত্তিমূলক পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রতিবন্ধীদের নাম নথিভুক্তকরন শিবির

সর্বোপরি, মোদি সাম্প্রতিক মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রস্তাব রেখেছিলেন যে ভিডি সাভারকরকে ভারতরত্ন দেওয়া হবে। এই সাভারকরকেই কিন্তু গান্ধি হত্যার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে বিচারাধীন রাখা হয়েছিল।

সাভারকর খালাস পেয়েছিলেন, তবে তাঁর চূড়ান্ত মিশনে দিল্লির উদ্দেশ্যে মুম্বই এর সাভারকর সদন থেকে বের হওয়ার সময় তিনি মারাঠিতে নাথুরাম গডসেকে বলেছিলেন – “ইয়াস্বসী হউন ইয়া”, অর্থাৎ, “সফল হন, ফিরে আসুন”।

মোদির প্রিয় রাজনীতিবিদ সর্দার প্যাটেল এই ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮ নেহরুকে লেখা একটি চিঠিতে বলেছিলেন, “বাপু হত্যার মামলা সম্পর্কিত তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে আমি প্রতিনিয়ত ওয়াকিবহাল থাকছি— এটি সরাসরি সাভারকারের অধীনে হিন্দু মহাসভার একটি কট্টরপন্থী শাখা যা এই ষড়যন্ত্রকে উদ্বুদ্ধ এবং বাস্তবায়িত করে।”

বিজেপির দলীয় সদস্যরা ভান করতে পারে তবে প্রজ্ঞা ঠাকুর ভারতের পক্ষে বিব্রতকর। তিনি সংসদ এবং এর পরামর্শক কমিটির কাছে বিব্রতকর একটু ব্যক্তিত্ব।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here