নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। বর্তমান সময়ে হাতে গোনা কয়েকটি রক্তদান শিবির হওয়ায়, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রক্তের সংকট। আর এই অবস্থায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের পরিবার-পরিজনেরা।
এই পরিস্থিতিতে নিজেদের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত দশ বছরের কন্যা সন্তান রিয়া সিংকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন পিংলা লক্ষীবাড়ী গ্রামের আদি বাসিন্দা, বর্তমানে কর্মসূত্রে কেশপুরের রাউতায় অবস্থানকারী প্রাথমিক শিক্ষক দম্পতি রবীন্দ্রনাথ সিং ও তপতী ঘোড়াই সিং।যদিও প্রায় দেড় মাস ছাড়া ছাড়া ‘এ প্লাস’ গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন হয় খাসবাড় হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী রিয়ার।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘ মেয়াদি লকডাউন হওয়ায় জেলা জুড়ে বিলি খাদ্য সামগ্রী
তবে গত বুধবার মেয়ের জন্য রক্তের জরুরি প্রয়োজনের কথা জানিয়ে, ফোনে আনন্দপুরের বিবেকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সিং যোগাযোগ করেন সুদীপ কুমার খাঁড়া সাথে, জানা যায়, এই সুদীপ বাবু পেশায় একজন সমাজকর্মী ও একদিকে চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের শিক্ষক।
ঘটনার কথা শুনে রক্তদান আন্দোলন কর্মী সুদীপবাবু তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করেন পূর্ণেন্দু শেখর কালীর সাথে। জানা যায় পূর্ণেন্দু শেখর বাবুও পেশায় একজন ক্রীড়া ও সমাজসেবী সংগঠন ‘মাসা’র সভাপতি। যদিও মেদিনীপুর শহরের পাহাড়িপুরের বাসিন্দা পূর্ণেন্দুবাবু আগেই রক্তের চাহিদা সংক্রান্ত সুদীপ বাবুর একটি ফেসবুক পোষ্টের উত্তরে তিনি জানিয়ে রেখেছিলেন, তাঁর রক্তের গ্রুপ ‘এ প্লাস’। এছাড়াও তিনি রক্তদানে আগ্রহী। এদিন সুদীপ বাবুর ফোন পেয়ে রক্তদানে রাজি হয়ে যান পূর্ণেন্দুবাবু।
তবে রবীন্দ্রনাথ বাবুর সাথে পূর্ণেন্দু বাবুর যোগাযোগ করিয়ে দেন সুদীপ বাবু।সেই মতো শুক্রবার সকাল ১০ টায় মেদিনীপুর ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তদান করেন পূর্ণেন্দু শেখর কালী। এই সংকটের মধ্যেও এই মহৎ দানের দাতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রিয়ার পরিবার। এমনকি অভিনন্দন জানিয়েছেন মাসার সম্পাদক গৌতম ভকতসহ অন্যান্যরা। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় পূর্ণেন্দু বাবুকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন নেটিজনেরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584