সুকৃতি বিশ্বাস
(লেখক পেশায় শিক্ষক এবং নিবন্ধকার)
চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার পেলেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী প্রাণীর দেহে রিদমিক ছন্দ বা দেহঘড়ি আবিষ্কারের জন্য ।
“দেহঘড়ি” বিষয়টা মূলত জীব দেহের অভ্যন্তরে সময় নিরূপণের একটি পদ্ধতি। তিন মার্কিন জিনবিজ্ঞানী জেফরি সি হল, মাইকেল রোজব্যাশ ও মাইকেল ডব্লিউ ইয়ং মৌমাছির উপর গবেষণা করে এর সাথে সম্পর্কিত মৌমাছির শরীরে একটি বিশেষ জিন খুঁজে পান, যা এ বিশেষ জৈবিক ছন্দটি নিয়ন্ত্রণ করে। তাঁরা দেখেন যে এ বিশেষ জিন থেকে পাঠানো সংকেতে রাতের বেলা দেহকোষে একটি প্রোটিন জমা হয়। এ বিশেষ প্রোটিন পরবর্তী সময়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে এসে তা পুরোপুরি নিঃশেষ হয়ে যায়।
এভাবে প্রতি রাতেই ওই জিনের পাঠানো সংকেতে দেহকোষে প্রোটিন জমা হয়, যা বহির্জগতের সময় ধারণার মতো দেহের ভেতরেও একটি নিজস্ব সময়ের বৃত্ত তৈরি করে।
মানুষ বা অন্য কোন জীব প্রতিদিন যে শরীরবৃত্তীয় কাজ করে তার পুনরাবৃত্তি ঘটে দেহঘড়ির জন্য। এরই অংশ হিসেবে সূর্যমূখীর ফুল সবসময় সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে এবং তাকে যদি কৃত্রিম অালোয় সূর্যের বিপরীতে অালো প্রদান করা তখনও সে তার দেহঘড়ির সূচি অনুযায়ী সূর্যের অবস্থান সেদিকে মুখ করে থাকবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584